নজরদারিসামগ্রী বা স্পাইওয়্যার অপব্যবহারকারীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বা স্টেট ডিপার্টমেন্টে এক বিবৃতিতে আনুষ্ঠানিক এই ঘোষণা দেয়। ঘোষণায় বলা হয়, স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক নতুন নীতি বাস্তবায়ন করছে, যা বাণিজ্যিক স্পাইওয়্যারের অপব্যবহারের সঙ্গে জড়িতদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের অনুমতি দেবে।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিবৃতিতে বলা হয়, এই নতুন নীতি বাণিজ্যিক স্পাইওয়্যারের অপব্যবহার রোধে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক প্রচেষ্টার সাম্প্রতিকতম পদক্ষেপ। এর আগেও মার্কিন সরকার বাণিজ্যিক স্পাইওয়্যার ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে নির্বাহী আদেশ জারি করেছিল।
বিবৃতি অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে বাণিজ্যিক স্পাইওয়্যারের ক্রমবর্ধমান অপব্যবহার নিয়ে উদ্বিগ্ন। কারণ এর মাধ্যমে সহজে দমন-পীড়ন চালানো যায়, তথ্যের অবাধ প্রবাহ সীমিত করা যায় এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করা সহজ হয়। বাণিজ্যিক স্পাইওয়্যারের অপব্যবহার ব্যক্তির গোপনীয়তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মেলামেশাকে হুমকির মুখে ফেলে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মূলত কাউকে টার্গেট করে এ ধরনের নজরদারি নির্বিচারে আটক, জোরপূর্বক ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রে গুরুতরভাবে যুক্ত। এ ছাড়া, এই সরঞ্জামগুলোর অপব্যবহার মার্কিন কর্মীদের জন্য একটি নিরাপত্তা ও কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স হুমকি উপস্থাপন করে। যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়িয়ে বাণিজ্যিক স্পাইওয়্যার অপব্যবহারের সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় আনতে কাজ চালিয়ে যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন ও জাতীয় আইনের ধারা ২১২ (এ) (৩) (সি) অনুসারে স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে সাংবাদিক, অ্যাকটিভিস্ট, ভিন্নমতাবলম্বী হিসেবে বিবেচিত অন্যান্য ব্যক্তি, প্রান্তিক সম্প্রদায়ের সদস্য বা দুর্বল জনগোষ্ঠী বা ভুক্তভোগীর পরিবারের কাউকে লক্ষ্যবস্তু করে নির্বিচারে বেআইনিভাবে নজরদারি, হয়রানি, দমন বা ভয় দেখানোর জন্য কেউ প্রমাণিত হলে তাঁর ওপর ভিসা নীতি আরোপ করতে পারবে স্টেট ডিপার্টমেন্ট।
এফএস/
Discussion about this post