অভিবাসী কমানোর পরিকল্পনা থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী এবং কম দক্ষতাসম্পন্ন কর্মীদের ক্ষেত্রে ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি আরোপ করতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়েছে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষার পরীক্ষায় উচ্চতর রেটিং পেতে হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় দফার ভিসার আবেদন অধিকতর যাচাই করা হবে। এই দক্ষতা বিদেশি শিক্ষার্থীদের অস্ট্রেলিয়ায় দীর্ঘমেয়াদের থাকার ক্ষেত্রে সহায়তা করবে।
দেশটির সরকার বর্তমান অভিবাসন নীতির সমালোচনা করেছেন বর্তমান সরকার। এ নীতিকে ‘ভাঙাচোরা’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। সরকার জানিয়েছে, আগামী দুই বছরের মধ্যে অভিবাসী গ্রহণের হারকে বর্তমানের অর্ধেকে নামিয়ে আনা হবে।
অস্ট্রেলিয়া সরকার বলছে, আগামী দুই বছরের মধ্যে তারা অভিবাসী অর্ধেক করতে পারে। বর্তমানে দেশটির ‘ভঙ্গুর’ অভিবাসন ব্যবস্থাকে সংশোধনের চেষ্টা করছে তারা।
করোনা মহামারীতে কঠোর সীমান্ত নীতি গ্রহণ করে অস্ট্রেলিয়া। এরপর বিভিন্ন ব্যবসায় কর্মীর ঘাটতি পূরণে অস্ট্রেলিয়া গত বছর তার বার্ষিক অভিবাসী সংখ্যা বাড়ায়। সেই হিসেবে এই বৃদ্ধিকে অবশ্য স্বাভাবিক বলছে দেশটি।
অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেয়ার ও’নেইল সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের এই কৌশল অভিবাসী গ্রহণের পরিমাণকে স্বাভাবিক পর্যায়ে নামিয়ে আনবে। এটি অভিবাসীর সংখ্যা, নির্দিষ্ট কোনো সময় বা বর্তমানে অভিবাসীরা কী ধরনের সমস্যার মুখোমুখি সেজন্য নয়। এটি আমাদের দেশের ভবিষ্যতের প্রশ্ন।
ও’নিল জানান, ২০২২–২০২৩ সালে নেট বিদেশি অভিবাসন যা বেড়েছে, এর বেশিরভাগই বিদেশি স্টুডেন্টদের কারণে। তিনি আরও বলেন, সরকারের এমন সংস্কারমূলক পদক্ষেপ ইতোমধ্যে বিদেশিদের ওপর নিম্নমুখী চাপ সৃষ্টি করেছে। এরফলে অভিবাসীর সংখ্যা প্রত্যাশিত হারে কমিয়ে আনবে। যদিও এ নীতি কবে থেকে কার্যকর হবে তার তিনি স্পষ্ট করে জানাননি।
এর আগে দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেন, দেশের অভিবাসন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। অভিবাসন ব্যবস্থাকে একটি টেকসই স্তরে ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।
Discussion about this post