অবৈধভাবে সমুদ্রপথে ইউরোপে যাওয়ার সময় ভূমধ্যসাগরে তিউনিশিয়া জলসীমায় নৌকা ডুবে যে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছিলো তাদের মেধ্য আট জনই বাংলাদেশের। বাকি একজন পাকিস্তানি নাগরিক। এছাড়া ওই ঘটনায় ২৭ বাংলাদেশি নাগরিককে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
লিবিয়ার স্থানীয় সময় সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দূতাবাসের একটি টিম তিউনিশিয়ার উপকূল এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে বাংলাদেশিদের মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। দূতাবাসের জানিয়েছে, ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে একটি অভিবাসী দল নৌকায় করে লিবিয়ার জুয়ারা উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। যাত্রাপথে নৌকাটি তিউনিশিয় উপকূলে গেলে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। নৌকাটিতে মোট ৫৩ জন ছিল। এদের মধ্যে ৫২ জন যাত্রী এবং একজন ছিল নৌকার চালক।
দুর্ঘটনার পর চালকসহ ৫৩ জনের মধ্যে ৪৪ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। বাকিদের মধ্যে পাকিস্তানের ৮ জন, সিরিয়ার ৫ জন, মিসরের ৩ জন ও নৌকা চালক রয়েছেন (মিশরীয় নাগরিক)। ওই ঘটনায় নৌকায় থাকা ৯ জন যাত্রী মারা গেছেন। এদের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক।
মারা যাওয়া ৮ বাংলাদেশি হলেন, সজল, নয়ন বিশ্বাস, মামুন শেখ, কাজী সজীব, কায়সার, রিফাত, রাসেল এবং ইমরুল কায়েস আপন। এদের মদ্যে প্রথম পাঁচজন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা, বাকি তিনজন গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বাসিন্দা। এর আগে, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের স্বজনদের দেওয়া তথ্যমতে তিনজনের মারা যাওয়ার কথা জানা গিয়েছিল।
অবৈধ পথে ইতালি যাওয়ার চেষ্টা, ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবে মাদারীপুরের তিন তরুণের মৃত্যুঅবৈধ পথে ইতালি যাওয়ার চেষ্টা, ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবে মাদারীপুরের তিন তরুণের মৃত্যু ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা এবং চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে দূতাবাস তিউনিশিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এবং আইওএমের (আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা) সঙ্গে কাজ করছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার তথ্যমতে, বিভিন্ন দেশের উপকূল থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার প্রচেষ্টায় গত বছর তিন হাজারের বেশি অভিবাসী মৃত্যুবরণ করেছেন এবং নিখোঁজ হয়েছেন।
এ এস/
Discussion about this post