দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিসহ সমমনা কয়েকটি দলের নির্বাচন বর্জনের মধ্যেও জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারণা। প্রচার-প্রচারণা কেন্দ্র করে এরই মধ্যে বেশকিছু সংঘাতের খবর মিলেছে। বিরোধীদের ভোট বর্জনসহ অসহযোগের হুমকি তো আছেই। তাই সহিংসতার বিষয়ে সজাগ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে মাঠে থাকবে র্যাব, পুলিশ, আনসার, বিজিবি, কোস্টগার্ড,সহ এপিবিএনের সাড়ে সাত লাখ ফোর্স। সেই সাথে কাল থেকে মাঠে নামছে সেনাবাহিনীও। ভোটের আগে-পরে ১৩ দিন মাঠে মোতায়ন থাকবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র, প্রার্থী, ভোটার, প্রিসাইডিং অফিসার ও রিটার্নিং অফিসারসহ প্রত্যেককে নিরাপত্তা দিতে এরই মধ্যে নির্বাচনী ছক তৈরি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে মাঠে মোতায়েন করা রয়েছে সাড়ে সাত লাখের বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। যা গত একাদশ সংসদ নির্বাচনের চেয়ে এক লাখ ৩০ হাজার বেশি।
পুলিশ সদরদপ্তর সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনে সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি, আনসার ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা মাঠে থাকলেও নিরাপত্তার মূল দায়িত্বে থাকবে পুলিশ। নির্বাচনে পুলিশের প্রায় ৮০ শতাংশ সদস্য ভোটের মাঠে মোতায়েন থাকছে। নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য অধিকাংশ জায়গায় বিরতিহীনভাবে ডিউটিতে থাকবে পুলিশ সদস্যরা । এছাড়া ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন থানা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারেও কাজ করছে পুলিশ। এবার বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়া হয়নি তাই অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার যাতে কোনোভাবে না বাড়ে সে দিকটিও খেয়াল রাখতে হচ্ছে পুলিশকে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুই লাখ ১৫ হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবে। সাধারণ ভোটকেন্দ্রে মোতায়েন থাকবে চার লাখ ৭২ হাজার সদস্য। এছাড়াও মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে অস্ত্রধারী দুজন পুলিশ, অস্ত্রধারী একজন আনসার, অস্ত্র বা লাঠিধারী একজন আনসার, ১০ জন সাধারন আনসার, লাঠি হাতে একজন বা দুজন গ্রামপুলিশ সদস্যসহ ১৫-১৬ জনের একটি দল সব সময় ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা দেবে। এবারের নির্বাচনে মোট ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পাবেন।
এস আর/
Discussion about this post