মধ্যপ্রাচ্যে বিরল এক সফরে বুধবার(৬ ডিসেম্বর) সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবু ধাবিতে পৌঁছেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দীর্ঘ ৪ বছর পর মধ্যপ্রাচ্যের সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সফরে গেলেন। এবারের সফরে পুতিন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে তেল উৎপাদন (ওপেক প্লাস) এবং গাজা ও ইউক্রেনে চলমান নিয়ে আলোচনা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান এবং অন্য কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান।
পুতিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘শট’ জানিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে সফর শেষ করে পুতিন সৌদি আরব যাবেন। সেখানে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
মার্কিন সংবাদ সংস্থা এপির খবরে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর মধ্যপ্রাচ্য সফরে এটি পুতিনের প্রথম সফর। তিনি সর্বশেষ ২০১৯ সালে এ দুই দেশ সফর করেছিলেন।
আমিরাতে পা রাখতেই দেশটির আমিরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন পুতিন। প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিক বৈঠকে প্রেসিডেন্টদের নিজ নিজ প্রতিনিধিদল অন্তর্ভক্ত থাকবে। এরপর নেতাদের মধ্যে ওয়ান-টু-ওয়ান ফরম্যাটে আলোচনা হবে।
উশাকভ বলেছেন, ‘আমি আশা করি, সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের সঙ্গে খুব গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে।’ পুতিন মধ্যপ্রাচ্যের মিত্রদের সঙ্গে ইউক্রন যুদ্ধসহ তেল, বাণিজ্য এবং ইসরাইল-হামাস দ্বন্দ্ব নিয়ে আলোচনা করবেন।
রয়টার্স বলছে, ওপেক প্লাসে (পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংস্থা) সহযোগিতামূলক সম্পর্ক ছাড়াও পশ্চিমা নয় এমন দেশগুলোর সঙ্গে বৈশ্বিক জোট গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন পুতিন। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করার চেষ্টা করছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে খুব বেশি বিদেশ সফর করেননি পুতিন। তবে যেসব দেশে গেছেন তার বেশিরভাগই আবার সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশ। এর বাইরে সর্বশেষ গত অক্টোবরে চীন সফর করেছেন।
Discussion about this post