মধ্যপ্রাচ্যে যা ঘটছে তা ‘সম্মিলিত গণহত্যা’ বলে অভিহিত করেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। একই সঙ্গে ইসরায়েলের ‘দায়মুক্তি’ সম্পর্কেও সতর্ক করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) দোহায় এশিয়া সহযোগিতা সংলাপে এক সংবাদ সম্মেলনে কাতারের নেতা বলেন, এটা একেবারে স্পষ্ট যে এই অঞ্চলে যা ঘটছে তা সম্মিলিত গণহত্যা। গাজা উপত্যকাকে মানুষের বসবাসের অনুপযোগী এলাকায় পরিণত করার পাশাপাশি বাস্তুচ্যুতির প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তির চাবিকাঠি হলো দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান। যেখানে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী ধরে ১৯৬৭ সালের সীমান্তের ভিত্তিতে একটি স্বাধীন কার্যকর ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হবে।
এ সময় লেবাননে ইসরায়েলি আগ্রাসন নিয়েও কথা বলেন কাতারের আমির। তিনি বলেন, আমরা লেবাননের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধে যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টার আহ্বান জানাই।
গাজায় গণহত্যা চালানোর অভিযোগে ইসরায়েলের দিকে বিশ্বের বহু দেশ আঙ্গুল তুললেও তা মানতে নারাজ তেল আবিব। গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার জবাবে গণহত্যা শুরু করে ইসরায়েল। এরই মধ্যে সেখানে ইসরায়েলি হামলার ৪১ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
গাজা যুদ্ধের মধ্যেই হিজবুল্লাহ সদস্যদের দমনের নামে চলতি সপ্তাহে লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তার সপ্তাহ দুয়েক আগে সেখানে বিমান হামলা জোরদার করে দেশটি। এরই মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে দুই হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
এ ইউ/
Discussion about this post