মাগুরায় ধর্ষণের শিকার আট বছরের শিশুটিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (৭ মার্চ) রাত সোয়া ৯টার দিকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকেরা তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
শিশুটির মামা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “তার শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ডাক্তাররা রাতেই লাইফ সাপোর্টে নিয়েছেন। আমরা সবাই তার জন্য দোয়া করছি।”
এর আগে, গুরুতর আহত অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের শিশু পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিআইসিইউ) চিকিৎসাধীন থাকার পর শুক্রবার রাতে তার অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে, যার ফলে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) মাগুরা সদর উপজেলায় বোনের বাড়িতে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মাগুরার পুলিশ সুপার (এসপি) মিনা মাহমুদা বলেন, ‘এই ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুটির বোনের স্বামী ও তার বাবাকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী বলেন, ‘শিশুটির সঙ্গে কী ঘটেছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। শিশুটি অচেতন অবস্থায় ছিল। যে বাসায় সে বেড়াতে এসেছিল, ধারণা করা হচ্ছে, সেখানেই ঘটনা ঘটেছে। শিশুটির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তার দুলাভাই ও দুলাভাইয়ের বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।’
ওসি আইয়ুব আলী আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় হাসপাতালে। এখন পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেননি।’
শিশুটির পরিবারের সদস্যরা দ্রুত বিচার নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে বলেছেন, “আমাদের মেয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। আমরা চাই, অপরাধীরা যেন দ্রুত শাস্তি পায়, যেন আর কোনও শিশু এ ধরনের ভয়ংকর ঘটনার শিকার না হয়।”
এ ঘটনায় সারাদেশে নিন্দার ঝড় উঠেছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো দ্রুত বিচার নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে এবং নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা আরও কঠোর করার আহ্বান জানাচ্ছে।
এ ইউ/
Discussion about this post