এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ব্যতিক্রম উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করাই মূল লক্ষ্য। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। এই বিজয় জনগণের বিজয়। এ নির্বাচনে তার নয়, জয় হয়েছে বাংলাদেশের মানুষের।
সোমবার বিকেলে গণভবনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করাই লক্ষ্য। এবারের নির্বাচন একটি যুগান্তকারী ঘটনা। নির্বাচন নিয়ে আগে কখনো এত আগ্রহ তিনি দেখেননি। দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। এটা জনগণের বিজয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৮০ শতাংশ মানুষ দরিদ্র ছিল। বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল দেশের মানুষ উন্নত জীবনের অধিকারী হবে। বাবা যে আদর্শ নিয়ে কাজ করেছেন, তাকে সেই কাজ সম্পন্ন করতে হবে।সরকারে এসে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করেছে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। ছোট বোন শেখ রেহানা আর তিনি বেঁচে যায়। ছয় বছর তারা রিফিউজি ছিলাম। খুব কষ্টকর জীবন ছিল তাদের।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে যারা নারী ধর্ষণ করেছিল, লুটপাট করেছিল,অগ্নিসংযোগ করেছিল, স্বাধীনতার পরপর তাদের বিচার শুরু হয়েছিল। কিন্তু মিলিটারি ডিক্টেটর ক্ষমতায় এসে বিচারের হাত থেকে মুক্তি দিয়ে তাদের ক্ষমতায় বসায়। যখন তার মা-বাবার খুনিরা এবং যুদ্ধাপরাধীরা ক্ষমতায়, ওই অবস্থায় তিনি দেশে ফিরে আসেন। তার আসার একটাই লক্ষ্য ছিল- বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা; মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা; গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে আর্থসমাজিক উন্নতি করা।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তার চলার পথটা এত সহজ ছিল না, অনেকবার তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। কখনও গুলি, কখনও বোমা হামলা, কখনও গাড়িতে হামলা। যখন শান্তি র্যালি করছিলেন তখন গ্রেনেড হামলা করা হয়। দলের নেতাকর্মীরা তাকে রক্ষা করে মানবঢাল রচনা করে। অনেকে জীবন দেয়। জনগণের কথা বলতে গিয়ে অনেকবার গ্রেপ্তার হয়েছেন, বন্দি হয়েছেন। তারপরও তিনি দমে যাইননি।
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, একটি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। মিলিটারি ডিক্টেটর থেকে যে দল সৃষ্টি তারা নির্বাচন ভয় পায়, কারণ তাদের জনসমর্থন থাকে না। তারা যা করছো সেটা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছাড়া কিছুই না, তারা কখনই গণতান্ত্রিক কোন দল না।
এসময় ড. ইউনূসের সাজার ব্যাপারে সরকারপ্রধান বলেন, লেবার আইনের মামলায় ড. ইউনূসের সাজা আইনি প্রক্রিয়ায় হচ্ছে সেখানে সরকারের কিছু করার নাই।
এস আর/
Discussion about this post