মালদ্বীপে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের একটি প্রতিনিধিদল আড্ডুর বিভিন্ন দ্বীপে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে খোঁজখবর নিয়েছেন। প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যার কথা সরাসরি শুনেছেন, তাৎক্ষণিক কিছু সমাধান দিয়েছেন। এ ছাড়া, বিভিন্ন কর্মস্থলও পরিদর্শন করেছেন তারা।
প্রতিনিধিদল ৬-৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশটির প্রাচীন আড্ডু এটোল পরিদর্শন করেছে।প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন হাইকমিশনার রিয়ার এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ। মিশনের কাউন্সেলর (শ্রম) ও হেড অব চেন্সারী মো. সোহেল পারভেজ, তৃতীয় সচিব চন্দন কুমার সাহা ও কল্যাণ সহকারী আল মামুন পাঠান সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সফরকালে স্থানীয় শরাফুদ্দিন স্কুল মিলনায়তনে সেখানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের সঙ্গে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় হাইকমিশনার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় হাইকমিশনার সবাইকে বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণ, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সদস্যপদ গ্রহণ, ই-পাসপোর্ট গ্রহণসহ স্থানীয় আইনকানুন মেনে চলার অনুরোধ করেন।
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রবাসী রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সরকার সবসময়ই রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের যে কোনো সমস্যা সমাধানের বিষয়ে আন্তরিক।
তৃতীয় সচিব চন্দন কুমার সাহা এমআরপি ও ই-পাসপোর্ট সংক্রান্ত তথ্যাদি প্রদান করেন। কাউন্সেলর মো. সোহেল পারভেজ তার বক্তব্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিয়ে স্থানীয় আইনকানুন মেনে কাজ করার আহ্বান জানান। প্রবাসী কর্মীদের সরকার কর্তৃক চালুকৃত সর্বজনীন পেনশন স্কিমে (প্রবাস) রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আহ্বান জানান।
সফরকালে আড্ডু আইল্যান্ড এ অবস্থিত আড্ডু ইকোয়াটোরিয়াল হাসপাতাল পরিদর্শন করা হয়। এ সময় এই হাসপাতালের পরিচালক ও সেখানে কর্মরত বাংলাদেশি চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা হয়।
সবশেষে ওই দ্বীপের নিকটবর্তী ক্যানারিফ রিসোর্টও পরিদর্শন করা হয় এবং সেখানে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়।
এ সময় আনডকুমেন্টেড কর্মীদের দ্রুত বৈধকরণে নিয়োগকর্তাদের উদ্বুদ্ধকরণের জন্য মেয়রকে অনুরোধ জানানো হয়। স্থানীয় কাউন্সিলররা আইল্যান্ডে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাজের প্রশংসা করেন এবং তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
Discussion about this post