আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া:
মালয়েশিয়ায় আসার পরে কোনো কাজ বা বেতন না দেওয়ায় কোম্পানির বিরুদ্ধে চার বাংলাদেশি ওয়ার্কার দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরের সেন্টুল পুলিশ স্টেশনে মঙ্গলবার (১২ মার্চ ) রাতে রিপোর্ট করেছে। তারা জানিয়েছে, ১৬১ জন বাংলাদেশি এই কোম্পানিতে আসার পর থেকে কাজ এবং বেতন ছাড়া অসহায় অবস্থায় জীবনযাপন করছে।
ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে জানিয়েছে, তাদের কোম্পানির লোকেরা বলেছিল, তাদের কন্সট্রাকশন কোম্পানিতে বেসিক ১৫০০ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিতে কাজ দেওয়ার কথা বলে মালয়েশিয়াতে নিয়ে এসেছে। পরে কুয়ালালামপুরের চৌকিটে তাদের কাজ ও বেতন বিহীন রাখা হয়েছে।
তারা বলছে, আমরা মালয়েশিয়ায় আসার প্রথম দিন থেকে আজ অবধি আমাদের কোন চাকরি বা বেতন দেওয়া হয়নি। আমরা সহ মোট ১৬১ জন শ্রমিক এখানে অনেক কষ্টে আছি। এখানে ইতিমধ্যে সাত মাসের বেশি হয়ে গেছে এবং আমরা এখনও বেকার। আমাদের কাছে খাবার কেনার টাকা নেই। আমাদের সমস্ত পাসপোর্ট কোম্পানির মালিকরা আটকে রেখেছে। এই পাসপোর্ট পেতে তাদের প্রত্যেককে ৬০০০ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত দিতে হবে বলে জানিয়েছে ভুক্তভুগীরা।
পুলিশ স্টেশনে তাদের সাথে পার্টি সোসিয়ালিস মালয়েশিয়ার প্রতিনিধিরা ছিলেন, যারা অভিবাসী অধিকার কর্মী অ্যান্ডি হলের সাথে তাদের আইনি ও মানবিক সহায়তা এবং ফান্ডিংয়ের জন্য কাজ করছেন।
চার বংলাদেশি বলছেন, “আমরা পুলিশ রিপোর্ট করেছি কারণ আমরা আশা করি পুলিশ এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে যাতে কোম্পানি থেকে আমাদের পাসপোর্ট ফেরত পাওয়া যায়।”
গত মাসে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল এবং মানবসম্পদ মন্ত্রী স্টিভেন সিম বলেছিলেন, যে নিয়োগকারীরা তাদের কর্মীদের পাসপোর্ট আটকে রাখে এবং তাদের মজুরি দিতে ব্যর্থ হয় তাদের অবশ্যই ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ এবং কর্মসংস্থান আইন ১৯৫৫ এর অধীনে আইনি ব্যবস্থা করা হবে।
কিছুদিন আগে ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে, চেরাসের একটি কোম্পানি, ৯৪ জন বাংলাদেশী কর্মীর চাকরি, উপযুক্ত থাকার জায়গা এবং পর্যাপ্ত খাবার দিতে ব্যর্থ এই মর্মে রিপোর্ট করেছিলো।
সাইফুদ্দিন এবং সিম বলেছেন, এই ধরনের কোম্পানিগুলোকে তাদের কর্মচারীদের ন্যূনতম মানের আবাসন এবং সুযোগ-সুবিধা আইন ১৯৯০এর অধীনে যথাযথ আবাসন সরবরাহ করতে ব্যর্থতার জন্য অভিযোগের মুখোমুখি হতে হবে। পাচার বিরোধী এবং অভিবাসীদের চোরাচালান বিরোধী আইন ২০০৭ এর অধীনে তদন্ত করা হবে।
এস আর/
Discussion about this post