আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়ার পেনাং রাজ্যে নির্মাণাধীন ভবণ ধ্বসের ঘটনায় তদন্ত পূর্বক ব্যাবস্থা নেবে কর্তৃপক্ষ। ভবণে কর্মরত ৩ বাংলাদেশী নিহত এবং ২ জন আহতের ঘটনায় তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে নির্মাণ প্রকল্পের কর্তৃপক্ষ তিতিজায়া ল্যান্ড বেরহাদ।
বুধবার ( ২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পেনাংয়ের বায়ান লেপাসে ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করে তিতিজায়া গ্রুপের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক দাতুক লিম পোহ ইয়েট এই ঘোষণা দেন।
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ১০ টার সময় ভবনের ছাদ ধসে পড়ার ঘটনা পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে তদন্ত করবে তার সংস্থা। এতে কারো দ্বারা গাফিলতি কিংবা অবহেলার প্রমান পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ এই দূর্ঘটনায় ৩ জন বাংলাদেশী প্রাণ হারিয়েছেন।
এখন করনীয় হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সহায়তা প্রদান করা, শোকাহত পরিবারগুলিকে সহায়তা দেওয়া এবং এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে পাশে থাকা। আমরা নিহত শ্রমিকদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই এবং আহতদের জন্য আমাদের আন্তরিক উদ্বেগ প্রকাশ করছি।
এই পরিস্থিতিতে দুর্ঘটনাস্থলে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাইটের সমস্ত কাজ স্থগিত করা হয়েছে এবং গ্রুপটি দ্রুত ও দক্ষ অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান নিশ্চিত করতে ঠিকাদার, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং চিকিৎসা কর্মীদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাত ৯.৫৮ মিনিটের ঘটনায়, নির্মাণাধীন লজিস্টিক গুদামটির ছাদ ধসে পড়ে তিন বাংলাদেশি শ্রমিক নিহত হন এবং অপর দুইজন গুরুতর আহত হন।
নির্মাণের স্থানটি পেনাংয়ের দক্ষিণ অংশে অবস্থিত, এবং ভবনটি অফিস স্থান, পার্কিং এবং একটি গুদাম সহ একটি তিনতলা লজিস্টিক ব্যবসায়িক কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজ চলছিল। পরে ৪ নিখোঁজের কথা শুনা গেলেও পুলিশ জানায় তারা দূর্ঘটনা ঘটার পর ভয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন, পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।নিখোঁজ ৪ বাংলাদেশির খোঁজ পাওয়ায় বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় উদ্ধার অভিযান স্থগিত করে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ।
এদিকে মালয়েশিয়ায় নির্মাণাধীন ভবন ধসে নিহত বাংলাদেশি শ্রমিকদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ হাইকমিশন।হাইকমিশন নিহত বাংলাদেশি কর্মীদের মরদেহ দ্রুত বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য পরিবারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করছে হাইকমিশন।
এছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিহতদের মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ আদায়েও কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে হাইকমিশন।
Discussion about this post