মালয়েশিয়ায় এক বাংলাদেশিকে লাঞ্ছিত করে ছিনতাই করা পাঁচ ভুয়া পুলিশকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গত ১৯ সেপ্টেম্বর দেশটির সেলাঙ্গর রাজ্যের শাহ আলমের সেকশন ২৫ এলাকায় পুলিশ পরিচয়ে হানা দিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিকে ছিনতাই করে তারা।
২৭ সেপ্টেম্বর নিউস্ট্রিট টাইমসের খবরে বলা হয়, ৪৬ বছর বয়সী উইরা টেম্পাং নামে একজনের নেতৃত্বে এই পাঁচ ব্যক্তিকে ভ্যালেন্সিয়ার ফ্ল্যাটে প্রবাসীর কাছ থেকে নগদ ৭ হাজার রিংগিত এবং দুটি মোবাইল ফোন ছিনতাই করার চার দিন পর গ্রেফতার করা হয় তাদের।
শাহ আলম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল ইব্রাহীম জানান, বাংলাদেশি, একজন ব্যবসায়ী, ১৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে নয়টায় ডাকাতির ঘটনায় থানায় একটি প্রতিবেদন দায়ের করেন।
এই ঘটনায়, ভুক্তভোগী ফ্ল্যাটের ব্লক ই-এর সামনে একা দাঁড়িয়ে থাকার সময় সন্দেহভাজনদের দ্বারা লাঞ্ছিত হয়, যারা নিজেদেরকে পুলিশ বলে দাবি করে।
মোহাম্মদ ইকবাল বলেন, সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারের জন্য ২৩ সেপ্টেম্বর সেলাঙ্গর এবং শাহ আলম পুলিশের বিশেষ তদন্ত বিভাগের (ডি৯) সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।
তিনি বলেন, ৩৯ থেকে ৫৪ বছর বয়সী সন্দেহভাজনদের মধ্যে কয়েকজনের এর পূর্বের অপরাধমূলক রেকর্ড রয়েছে। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, “সন্দেহভাজনদের মধ্যে একজন, উইরা টেম্পাং নামে পরিচিত। ৪৬ বছর বয়সী এই অভিযুক্তের পূর্বের একটি অপরাধমূলক রেকর্ড রয়েছে, তাকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক সপ্তাহের জন্য রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, তদন্ত নিশ্চিত করেছে যে সন্দেহভাজনদের কেউই প্রকৃত পুলিশ নয়। মামলাটি দণ্ডবিধির ৩৯৫ ধারায় ডাকাতির অভিযোগে তদন্ত করা হচ্ছে। এই অপরাধে সর্বোচ্চ ২০ বছরের জেল এবং বেত্রাঘাতের বিধান রয়েছে।
একজন সরকারি কর্মচারীর ছদ্মবেশ ধারণ করার জন্য দণ্ডবিধির ১৭০ ধারার অধীনেও এটি তদন্ত করা হচ্ছে, যাতে দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ দুই বছরের জেল, জরিমানা বা উভয়ই হতে পারে।
যাদের কাছে এই মামলার আরো তথ্য রয়েছে তাদের তদন্তকারী অফিসার, ইন্সপেক্টর নবিনত্রান সেলভারাজার সাথে 016-2052314 নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেছেন সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল ইব্রাহীম ।
এম এইচ/
Discussion about this post