আহমাদুল কবির,মালয়েশিয়া:
মালয়েশিয়ায় বিশেষ অভিযানে বাংলাদেশীসহ ৫৬১ জন অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ।
আটককৃতরা বাংলাদেশ, মায়ানমার, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ভারত, কম্বোডিয়া, সিয়েরা লিয়ন এবং কামেরুনের নাগরিক, যাদের বয়স তিন মাস থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে। আটকদের মধ্যে ২০৫ জন বাংলাদেশী রয়েছেন।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) মালয়েশিয়ার বানডার তাসিক পাংচাপুরি বাইদুরি এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই অভিবাসীদের আটক করা হয়।
শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টায় শুরু হওয়া এই অভিযানটি ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক দাতো’ রুসলিন বিন জুসোহের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। আবাসিক এলাকায় বসবাসকারী অবৈধ অভিবাসীদের বিষয়ে একটি জনসাধারণের অভিযোগের পর,মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন ৭৫২ জন ব্যক্তির কাগজ পত্রাদি পরীক্ষা করে।
অভিযানের সদস্যদের হাত থেকে পালানোর চেষ্টা করছিল কিছু অভিবাসী। যেখানে প্রায় ৮০ শতাংশ বিদেশী নাগরিক বাস করে। থাকার জায়গাটিও বেশ ঘনবসতিপূর্ণ এবং নোংরা ছিল।
ইমিগ্রেশনের বিভিন্ন পদমর্যাদার ৪৫৫ জন কর্মকর্তা এই অভিযানে অংশগ্রহণ করে, যাদের সহায়তা করেছিলেন জেনারেল মুভমেন্ট ফোর্স (PGA) এর ৬০ জন কর্মকর্তা, জাতীয় নিবন্ধন বিভাগ (JPN) এর ১২ জন কর্মকর্তা এবং মালয়েশিয়ার সিভিল ডিফেন্স ফোর্স (APM) এর পাঁচজন সদস্য।
অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক (অপারেশন) তুয়ান জাফ্রি বিন এমবক তাহা; ইমিগ্রেশন উপ-পরিচালক (নিয়ন্ত্রণ) দাতু কেন আনাক লেবেন; প্রয়োগ বিভাগের পরিচালক তুয়ান মোহাম্মদ জাসমি বিন মোহাম্মদ জুয়াহির; সেল্যাঙ্গর রাজ্য ইমিগ্রেশন পরিচালক তুয়ান খায়রুল আমিনুস বিন কামারুদ্দিন; এবং কুয়ালালামপুর ফেডারেল টেরিটরি ইমিগ্রেশন রাজ্য পরিচালক তুয়ান ওয়ান মোহাম্মদ সৌপি বিন ওয়ান ইউসুফ।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগগুলো হলো, কোনো পরিচয়পত্র না থাকা, অতিরিক্ত সময় অবস্থান করা এবং ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ লঙ্ঘন করা। পরবর্তী তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের বুকিত জলিল ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।
এস আর/
Discussion about this post