আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া:
মালয়েশিয়ার কেলান্তান রাজ্যের কোতাবারুতে প্রবাসীদের সাথে মতবিনিময় করেছেন, দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোঃ শামীম আহসান।
গত ২৫ ও ২৬ মে (শনি ও রবিবার) সরকারি ছুটির দিনে কুয়ালালামপুর থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূরে কেলান্তান কোতাবারুর কয়েকটি কন্সট্রাকশন সাইডে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের খোজ খবর নিতে আসেন। এসময় তিনি সেখানে কর্মরত প্রবাসীরা ঠিক মতো বেতন পাচ্ছেন কি না, থাকার জায়গার কোন সমস্যা আছে কি না, দেশে থাকা পরিবার কেমন আছে, তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করছে কি না সে ব্যাপারে আলোচনা করেন।
হাইকমিশনার মতবিনিময়কালে, সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাংলাদেশের সকল নাগরিকের টেকসই ভবিষ্যৎ আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় ইচ্ছা ও তার দূরদর্শী নেতৃত্বের বহিঃপ্রকাশ। প্রবাসীদেরকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় প্রবাস স্কিমে অংশগ্রহণ ও বৈধপথে ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাঠানো, মালয়েশিয়া সরকারের নিয়মকানুন মেনে চলার আহ্বান জানান।
মতবিনিময় শেষে কোতাবারুর মিজান গ্রান্ড ইন্টারট্রেডার্স এসডিএন বিএইচডির কয়েকটি সাইডও পরিদর্শন করেন। একজন প্রবাসী বাংলাদেশি হিসাবে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণে পরিচালক দাতু মোঃ মিজান ও মিজান গ্রান্ডের অন্যান্য কর্মকর্তাদের প্রসংশা করেন হাইকমিশনার।
আরও পড়ুনঃ সরকারের ধারাবাহিকতা আছে বলেই মানুষের পাশেও দাঁড়ানো সম্ভব হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
বিএইচডির ডাইরেক্টর দাতু মোঃ মিজান বলেন , একজন রাষ্ট্রদুত হঠাত করে এভাবে সাধারণ প্রবাসীদের খোজ খবর নিতে আসেবেন আমি বুঝতে পারি নাই। আমার কয়েকটি সাইড পরিদর্শন করেছেন এবং আমার কর্মী ও স্থানীয় মালয়েশিয়ান কর্মীদের সাথেও আলোচনা করেছেন। এমন হাইকমিশনার পাওয়াই আমরা নিজেকে ধন্য মনে করছি।
এছাড়াও কোতাবারুতে সাইড পরিদর্শনকালে হাইকমিশনারের সাথে সরাসরি দেখা করতে পেরে আনান্দ প্রকাশ করেছেন প্রবাসী বাংলািশি কর্মীরা । তারা বলেন হাইকমিশানার সরাসরি এসে এভাবে আমাদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন আমরা আনন্দিত। আলোচনায় বৈধপথে টাকা পাঠানো, প্রবাসস্কিমে অংশগ্রহণ করা এবং যে কোন সমস্যা হলে অবশ্যই দূতাবাসকে জানানোর জন্য হাইকমিশনার বলেছেন।
কোতাবারুতে বিভিন্ন সাইড পরিদর্শনকালে হাইকমিশনার বলেন আপনার জানেন যে মালয়েশিয়া বাংলাদেশিদের আলাদা একটা সুনাম রয়েছে যা কাজের মাধ্যমে ইতিমধ্যে আমরা প্রমান করে দিয়েছি। দাতু মোঃ মিজান একজন বাংলাদেশি হয়েও তিনি অনেক লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন এবং এইদেশের অধিকাংশ সরকারি স্থাপনা নির্মানে ভুমিকা রাখছে । এছাড়াও দাতু মিজানের মতো মালয়েশিয়ার বিভিন্ন প্রদেশে অনেক বাংলাদেশীরা আছেন যারা অনেকের কর্মস্থানের ব্যবস্থা করছেন ও সুনামের সাথে ব্যবসাঁ করে বাংলাদেশের সুনাম বয়ে আনছেন তাদেরকেও তিনি ধন্যবাদ জানান।
এ এ/
Discussion about this post