মালয়েশিয়ার রৌদ্রকরোজ্জ্বল আবহাওয়া; মালয়, চীনা, ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার সংস্কৃতির সংমিশ্রণের জীবনধারা অনেককেই আকৃষ্ট করে। একটু স্বস্তির খোঁজে অনেকেই এমএমটুএইচ বা মালেশিয়া মাই সেকেন্ড হোমি ভিসা পেতে আগ্রহী হন। প্রায় এক বছর পর দেশটি তাদের এ ভিসা নীতিতে পরিবর্তন আনল।
জনপ্রিয় এমএমটুএইচ ভিসা প্রোগ্রামে কয়েকটি নতুন শর্ত যুক্ত করেছে মালয়েশিয়া । অনেকে মনে করেন, যারা মালয়েশিয়ায় বসবাসের আকাঙ্ক্ষা রাখছেন বা সেখানে বসবাস দীর্ঘায়িত করতে চাচ্ছেন, নতুন নীতিমালা তাদের জন্য উপযোগী করে প্রকাশ করা হয়েছে। তবে ভিসা নীতিমালা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়াও রয়েছে। মঙ্গলবার আলজাজিরা এ খবর জানায়।
সমালোচকরা বলছেন, চলতি মাসে ঘোষিত এ ভিসা নীতি নিয়ে অনেকে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, নির্দিষ্ট আয় ও সম্পদের সীমা মোকাবিলার বাধ্যবাধকতা আছে কিনা– তা স্পষ্ট করা হয়নি। আবেদনকারীর বয়সসীমা ৫০ বা এর বেশি হলে কী হবে– এ বিষয়ও উপেক্ষা করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ট্যাগ মিডিয়ার প্রকাশক ও সিইও অ্যান্ডি ডেভিসন বলেন, ভিসা প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে নতুন নীতি এসেছে। কিন্তু কিছু বিষয় পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন। এর মধ্যে রয়েছে মাসিক আয়ের বিষয়টি। যারা এমএমটুএইচ ভিসার আবেদন করতে চাচ্ছেন, এটা তাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।
কিছু সম্পদ ও বিনিয়োগের বিনিময়ে এমএমটুএইচ প্রোগ্রাম মূলত বিদেশিদের মালয়েশিয়ায় ১০ বছরের বেশি সময় ধরে বসবাসের সুযোগ করে দেয়। ২০০২ সালে এ ভিসা চালু হওয়ার পর প্রথম ১৬ বছরে ৫৭ হাজার আবেদন পড়ে। ২০২০ সালে কভিড-১৯ মহামারি দেখা দেওয়ার পর সীমান্ত বন্ধ করে দেয় মালয়েশিয়া।
২০২১ সালে মহামারি চলাকালে ভিসা নীতি কঠোর করে মালয়েশিয়া। এতে আবেদনকারীকে মাসিক আয় ৪০ হাজার রিঙ্গিত দেখাতে বলা হয়, যা আগের চেয়ে ১০ হাজার বেশি।
এস আর/
Discussion about this post