আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া:
অর্থ চুরির অভিযোগে মালয়েশিযার তিন পুলিশ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে অভিযুক্তদের পাঠানো হয়েছে রিমান্ডে। মালয়েশিয়ায় মিনি ঢাকা খ্যাত বাংলা মার্কেটে অভিযানে, তল্লাশির সময় প্রবাসীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ চুরির অভিযোগ উঠে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান, পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক দাতুক সেরি আয়োব খান মাইদিন পিচাই। আটক পুলিশ সদস্যদের ২৩ ডিসেম্ব থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল। সেটা বাড়িয়ে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিমান্ডে নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
২৭ ডিসেম্বর দেশটির স্টার অনলাইনে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, গত ২১ ডিসেম্বর অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে ‘মিনি ঢাকা’ খ্যাত বাংলা মার্কেট ও তার আশপাশে অভিযান চালায় দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগের প্রায় এক হাজার সদস্য। এ অভিযানে বাংলাদেশিসহ ১ হাজারের বেশি অভিবাসীকে আটক করা হয়।
অভিযান চালানোর সময় মার্কেটে তল্লাশির নামে প্রবাসীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ৮৫ হাজার রিঙ্গিত চুরির অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্যকে আটক করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়া পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক আয়োব খান মাইদিন পিচাই বলেন, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের সঙ্গে আপস করা হবেনা। দন্ডবিধির ৩৮০ ধারায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিশেষ তদন্ত চলছে এবং তদন্ত শেষে ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটরের কাছে পাঠানো হবে।
২১ ডিসেম্বর বেলা ১১টা থেকে শুরু হওয়া অভিযানে বাংলাদেশিসহ ১ হাজার ১০১ জন আটক অভিবাসী আটক হয়েছেন। অভিযানের আগ-মুহূর্তে সশস্ত্র নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা পুরো এলাকা ঘিরে ফেলেন। এরপর বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা কোতারায়ার প্রতিটি দোকানে চালানো হয় তল্লাশি। এ সময় সশস্ত্র নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা দেখতে পান, মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়াই বাংলাদেশ থেকে আসা বিভিন্ন ধরনের ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছে।
এছাড়াও সেখানে অনেক বিদেশি ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা পরিচালনার পাশাপাশি আড়ালে দেশীয় মেডিসিন ব্যবসাও পরিচালনা করে আসছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, বাংলাদেশ, নেপাল ও মিয়ানমারের নাগরিকদের তত্ত্বাবধানে ওই এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড পরিচালিত হয়ে আসছিল।
এস আর/
Discussion about this post