বাংলাদেশসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ছয়টি দেশের জাতীয় নিরাপত্তা প্রধানরা আলোচনার জন্য মিয়ানমারে গেছেন। শুক্রবার (২৬ জুলাই) দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ তথ্য নিশ্চিত করে। মিয়ানমারে জান্তার শাসনামলে এটি একটি বিরল ঘটনা।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র দ্য গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার জানিয়েছে, এশিয়ার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দেশগুলোর বাণিজ্যবিষয়ক জোট বিমসটেকের বাংলাদেশ, ভূটান, ভারত, নেপাল, থাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার জাতীয় নিরাপত্তা প্রধানরা বৃহস্পতিবার মিয়ানমারে গেছেন।শুক্রবার আলোচনা শুরুর আগে বিমসটেকের সদস্যরাষ্ট্রের দেশগুলোর নিরাপত্তা প্রধানরা মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর প্রধান মিন অং হ্লাংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেসময় সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা, মাদক নির্মূল, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই ও মানব পাচার রোধে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়।
২০২১ সালে সেনাবাহিনী মিয়ানমারের ক্ষমতা দখলের পর ভিন্নমতাবলম্বীদের দমন শুরু হয়। সম্প্রতি মিয়ানমার জান্তা রোহিঙ্গাসহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু নৃ-তাত্ত্বিক গোষ্ঠীর বিরোধের মুখে পড়ে। এই মুহূর্তে মিয়ানমারের ন্যাশনাল ইউনিটি সরকারের পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে।মানবাধিকার সংগঠনগুলো জান্তার দমন-পীড়নের সমালোচনা করছে। এমনকি, বেশিরভাগ পশ্চিমা দেশ মিয়ানমারের সামরিক সরকারকে স্বীকৃতি না দেওয়ার অংশ হিসেবে নতুন করে কোনো দূতও পাঠায়নি।
জাতিসংঘও জান্তার দূতকে মেনে নেয়নি। বরং অং সান সু চি সরকারের দূতকেই দেশটির প্রতিনিধি মনে করে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জোট আসিয়ানের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকগুলোতেও জান্তা সরকারকে অন্তর্ভূক্ত করা হচ্ছে না।
এস এম/
Discussion about this post