সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে মানবসেবার আড়ালে মিল্টন সমাদ্দারের ‘নির্মম ও বর্বরোচিত’ চিত্র ফুটে উঠেছে। যা তদন্ত করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
রবিবার কমিশনের এ নির্দেশনার কথা জানিয়ে কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইউশা রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, তদন্ত দ্রুত শেষ করে আগামী ৩০ মে’র মধ্যে কমিশন বরাবর প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে।
ঢাকার কল্যাপুরে ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ নামে বৃদ্ধাশ্রম খুলে মিল্টন নানা অপকর্ম চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোশাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত মিল্টন রাস্তা থেকে অসুস্থ কিংবা ভবঘুরেদের কুড়িয়ে আশ্রয় দিয়ে তাদের নিয়ে ভিডিও তৈরি করে বিত্তবানদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করে তা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এর মধ্যে রয়েছে।
আশ্রিত ব্যক্তিদের অঙ্গ-প্রত্যক্ষ নিয়ে ব্যবসা, বিভিন্নজনকে হুমকি-ধমকি দেওয়ার, চিকিৎসক পেটানোর অভিযোগও এসেছে তার বিরুদ্ধে।
এনিয়ে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে। সাবেক সহকর্মীরাও মুখ খুলেছেন মিল্টনের বিরুদ্ধে।
মানবাধিকার কমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে মানবসেবার অন্তরালে যে নির্মম ও বর্বরোচিত চিত্র ফুটে উঠেছে, তা অত্যন্ত ভয়াবহ। মানবসেবা পরম ধর্ম, কিন্তু মানবসেবার নামে মুখোশের আড়ালে রাস্তা থেকে অসুস্থ, অসহায় ও নিরীহ মানুষকে তুলে এনে চিকিৎসার নামে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রির যে অভিযোগ মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে উঠেছে, তা অত্যন্ত ভীতিকর, ন্যক্কারজনক ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
“গুরুতর অসুস্থদের হাসপাতালে না নিয়ে নিজ প্রতিষ্ঠানে আটকে রাখা, ভুয়া ডাক্তার কর্তৃক মৃত্যু সার্টিফিকেট তৈরি করা কিংবা মৃত লাশের শরীরে কাটাছেঁড়ার যে তথ্য প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, তার যথাযথ তদন্ত হওয়া উচিত মর্মে কমিশন মনে করে।”
মানবাধিকার কমিশন ডিএমপি কমিশনারকে বলেছেন এই অভিযোগগুলো নিবিড়ভাবে তদন্ত করতে। মিল্টনের প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সম্পর্কে তদন্ত করতে বলা হয়েছে সমাজসেবা অধিদপ্তরকে।
মিল্টন অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন।
টিবি
Discussion about this post