আগামী ১৯ ডিসেম্বর মিশরের কায়রোতে ১১তম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোরে প্রধান উপদেষ্টা কায়রোর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন তার প্রেস উপ-সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর।
ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের কয়েকটি বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং সেই প্রস্তুতিও চলছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এই সপ্তাহে কায়রোতে অনুষ্ঠিত ডি-৮ কমিশনের ৪৮তম বৈঠকের মাধ্যমে ডি-৮ এর জন্য একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত’ চিহ্নিত হয়েছে। প্রথমত আগামী কয়েকদিন মূল আলোচনাগুলো হবে, যা ১৮ ডিসেম্বর ডি-৮ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কাউন্সিলের ২১তম অধিবেশন এবং ১৯ ডিসেম্বর বহুল প্রত্যাশিত ১১তম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে শেষ হবে।
এই বৈঠকগুলোতে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার এবং সদস্য দেশগুলোর মধ্যে টেকসই উন্নয়নের জন্য একটি অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির রূপরেখা তৈরি করতে নেতারা মিলিত হবেন।
সম্মেলনে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এবং মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি উপস্থিত থাকবেন।
সম্মেলনে ইন্দোনেশিয়া ২০২৬-২০২৭ মেয়াদের জন্য বর্তমান চেয়ার মিশরের কাছ থেকে ডি-৮ এর সভাপতিত্ব গ্রহণ করবে। ইন্দোনেশিয়ার ডি-৮ সংস্থার সভাপতিত্ব ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে। বর্তমানে সংস্থাটির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছে মিশর।
ফিলিস্তিনের পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা জোরদার করার যৌথ প্রচেষ্টায় ডি-৮ এর ভূমিকা ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে গাজা উপত্যকায়, যেখানে এখনও ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে।
ডি-৮ অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন, যা ডেভেলপিং-৮ নামেও পরিচিত। বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান এবং তুরস্কের মধ্যে পারস্পরিক উন্নয়ন সহযোগিতার জন্য প্রতিষ্ঠিত একটি সংস্থা।
১৯৯৭ সালের ১৫ জুন রাষ্ট্র/ সরকার প্রধানদের শীর্ষ সম্মেলনের ইস্তাম্বুল ঘোষণার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য ডি -৮ সংস্থা প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
এ ইউ/
Discussion about this post