গত ১৯ জুলাইয়ের হামলায় মেট্রোরেলের কাজীপাড়া স্টেশনে অবকাঠামোগত যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেটি পূরণে প্রায় একশ কোটি টাকা খরচ হবে বলে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে জানিয়েছিল ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা নেয়ার পর এখন জানা যাচ্ছে যে, স্টেশনটি সংস্কারে এক কোটি টাকাও খরচ হচ্ছে না।
খরচের বিষয়ে মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা যে হিসাব করেছি, তাতে মনে হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত দুটো স্টেশন মিলিয়ে সংস্কার কাজ করতে ১৩৮ কোটি টাকার বেশি লাগবে না।
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলার সময় হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ মেট্রো স্টেশন সংস্কার করে পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
তবে জুলাই ও আগস্টের আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপরই স্টেশন দুটির ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে কমিটি গঠন করা হয়। ইতোমধ্যে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করে সরকারের কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন কমিটির সদস্যরা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামলায় মেট্রোরেলের দুই স্টেশনে টিকেট কাটার ভেন্ডিং মেশিন থেকে শুরু করে ব্যবহৃত কম্পিউটার, অফিস কক্ষ, দরজা-জানালার কাচ, ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট কার্ড, টিকেট পাঞ্চ করার দরজা, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি) ইত্যাদি ক্ষতি হয়েছে।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমপি) মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, দুটি স্টেশনের মধ্যে কাজীপাড়া স্টেশনটি তুলনামূলক কম ক্ষতি হয়েছে। ফলে সেটি সংস্কারকাজ শেষ করে দ্রুত চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে মিরপুর-১০ মেট্রো স্টেশন চালু করতে বেশ কয়েক মাস সময় লাগবে।
এদিকে কাজীপাড়া স্টেশন মেরামতের কাজ প্রায় শেষের দিকে বলে জানিয়েছেন ডিএমটিসিএলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে যদি কোনো বড় ত্রুটি না পাওয়া যায়, তাহলে চলতি মাস থেকেই মেট্রোরেলের কাজীপাড়া স্টেশন যাত্রীদের ব্যবহারের জন্য খুলে দেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ শাসনামলে ২০১৭ সালে ডিএমটিসিএলের এমডি’র দায়িত্ব পেয়েছিলেন এম এ এন ছিদ্দিক। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা নেয়ার পর গত ৯ সেপ্টেম্বর তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে সেই জায়গায় দায়িত্ব পেয়েছেন রউফ।
জুলাইয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনে হামলাকারীদের হামলায় রাজধানীর মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশনের কিছু ক্ষতি হয়। ওই সময়ে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকার প্রধান শেখ হাসিনা গত ১৯ জুলাই এ দুটি স্টেশন পরিদর্শনে যান।
পরিদর্শন শেষে জানানো হয়, ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশন দু’টি সংস্কার করে পুনরায় সচল করতে কমপক্ষে এক বছর সময় লাগবে। এতে ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে বলে তখন জানানো হয়।
এ ইউ/
Discussion about this post