লিওনেল মেসির বিশ্বকাপ জয়ের এক বছর হতে চলেছে। মেসির বাঁ পায়ের জাদুতে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তোলে আর্জেন্টিনা। গত বছর এমন দিনে বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নে বিভোর ছিল আর্জেন্টিনা। শেষ পর্যন্ত ১৮ ডিসেম্বর রুদ্বশ্বাস এক ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বকাপ ঘরে তোলে মেসির দল। আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ের এক বছর পূর্তির নানা আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে বিশ্বজুড়ে। এর মধ্যে বিক্রি হলো বিশ্বকাপ চলাকালে মেসির পরা ৬টি জার্সিও।
নিউইয়র্কে বিশ্বের অন্যতম বড় চিত্রকলা, অলংকার ও সংগ্রহে রাখার মতো অন্যান্য জিনিসের ব্রোকার হাউস সোথেবির নিলামে এই জার্সিগুলো বিক্রি হয়েছে ৭৮ লাখ ডলারে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৮৫ কোটি টাকা। এই নিলামে মেসির যে ছয়টি জার্সি তোলা হয়েছে, সেগুলো তিনি পরেছেন, গত বিশ্বকাপ ফাইনালের প্রথমার্ধে, সেমিফাইনালে, কোয়ার্টার ফাইনালে, শেষ ষোলো এবং গ্রুপ পর্বের দুটি ম্যাচে।
মেসির ৬টি জার্সির মধ্যে একটি জার্সি তিনি ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচে গায়ে দিয়েছিলেন। বাকি জার্সিগুলোর ২টি জার্সি গ্রুপপর্বের ম্যাচে গায়ে জড়িয়েছিলেন তিনি। একটি জার্সি দ্বিতীয় রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়ার (২-১ গোলে জয়) বিপক্ষে, আরেকটি কোয়াটার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টাইব্রেকারের সময় এবং সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার (৩-০ গোলে জয়) বিপক্ষে গায়ে দিয়েছিলেন।
এর আগে কোনো খেলোয়াড়ের জার্সি নিলামে সর্বোচ্চ দামে বিক্রির রেকর্ডটি বাস্কেটবল লেজেন্ড মাইকেল জর্ডানের। ১৯৯৮ সালে শিকাগো বুলসের হয়ে এনবিএ’র চূড়ান্ত পর্যায়ে জর্ডান যে জার্সি পরেছিলেন, গত বছর সেটি এক কোটি এক লাখ ডলারে বিক্রি হয়।
এছাড়া ফুটবলারদের জার্সির মধ্যে নিলামে সবচেয়ে বেশি অর্থের বিনিময়ে বিক্রি হয়েছিল প্রয়াত আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনার ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের জার্সি। আর্জেন্টাইন গ্রেট ‘হ্যান্ড অব গড’খ্যাত গোলের জন্য বিখ্যাত ম্যাচটিতে তার পরিহিত জার্সি ৭১ লাখ পাউন্ডে বিক্রি হয়েছে।
Discussion about this post