যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসের ইউনিভার্সিটি অব নেভাদার প্রধান ক্যাম্পাসে বন্দুক হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন হামলাকারী। এ ছাড়া হামলায় আহত হয়েছেন আরও একজন। তার অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার( ৭ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নেভাদা লাসভেগাসের প্রধান ক্যাম্পাসে এক বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। পরে হামলাকারী নিজেও নিহত হন।
লাসভেগাস পুলিশ বিভাগ সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখিত এক বিবৃতিতে বলেছে, বন্দুকধারী ছাড়াও তিনজন নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ আরেকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রয়টার্স বলছে, কর্তৃপক্ষ নিহতদের পরিচয় জানাতে পারেনি। এ ছাড়া সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি পুলিশের গুলিতে নিহত নাকি নিজেই আত্মহত্যা করেছেন তাও স্পষ্ট নয়।
ভিনসেন্ট পেরেজ স্কুলের একজন অধ্যাপক ফোনে এমএসএনবিসিকে বলেছেন, ক্যাম্পাসে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার আগে তিনি প্রচুর গুলির শব্দ শুনেছেন।
তার ভাষায়, ‘আমরা একের পর এক সাত থেকে আটটি জোরালো শব্দ শুনতে পাই। সেটা শোনার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা ভেতরে আশ্রয় নিই এবং বুঝতে পারি, এটি আসলে গোলাগুলির শব্দ এবং ক্যাম্পাসে একজন সক্রিয় বন্দুকধারী রয়েছে।’
ইউনিভার্সিটি পুলিশের মুখপাত্র অ্যাডাম গার্সিয়া ব্রিফিংয়ে বলেন, ক্যাম্পাসে একজন সক্রিয় শুটারের বিষয়ে জানার পর আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা ‘তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানায় এবং সন্দেহভাজনের মুখোমুখি হয়’। সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।
লাসভেগাস মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগের শেরিফ কেভিন ম্যাকমাহিল বলেছেন, মানুষের জন্য এখন আর কোনো হুমকি নেই। তবে ইউনিভার্সিটি অব নেভাদা লাসভেগাসের প্রধান ক্যাম্পাস এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শাখা ‘অনেক সতর্কতার কারণে’ একদিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।
Discussion about this post