যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল তাদের সর্বশক্তি প্রয়োগ করেও ফিলিস্তিনিরি স্বাধীনতাকামী সংগঠনকে নিশ্চিহ্ন করতে পারবে না। এমন চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম পরাশক্তির দেশ ইরান। প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট ‘ইসরায়েল হামাসকে নির্মূলের ধারেকাছেও নেই’ এই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করার পর পরই ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই চ্যালেঞ্জ করেন।
মঙ্গলবার জেনেভায় জাতিসংঘে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের সময় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল কখনোই হামাসকে নিশ্চিহ্ন করতে পারবে না। তবে রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে তারা হামাসের হাতে আটক বন্দিদের ফিরিয়ে নিতে পারবে। সংঘাত বন্ধ না করলে বন্দিদের ফেরত দেওয়া হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বলেন, ইসরায়েলকে অবশ্যই রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং উন্মুক্ত রাখতে হবে, গাজার প্রতিটি অংশে মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে হবে এবং গাজার জনগণকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি বন্ধ করতে হবে।
ইসরায়েল হামাসকে নির্মূল করতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট। পত্রিকাটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২ মাসের বেশি সময় ধরে হামলা চালানোর পরও ইসরায়েল হামাসকে নির্মূলের ধারেকাছেও নেই।
৫ ডিসেম্বর প্রকাশিত ওয়াশিংটন পোস্টের এই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ৬৬ দিন যুদ্ধের পরও হামাসকে নির্মূলের ধারে-কাছেও যেতে পারেনি ইসরায়েলি সেনারা। হামাসের সামরিক শাখায় ৩০ হাজার যোদ্ধা রয়েছেন। এখন পর্যন্ত ৫ হাজার যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে হামাস স্পষ্ট করে বলেছে, ইসরায়েল ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের নির্মূল করার যে দিবাস্বপ্ন দেখছে তা কখনোই পূরণ হবে না। যুদ্ধের পর হামাসই গাজা পরিচালনা করবে।
এই অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, গাজা উপত্যকায় বেসামরিক মানুষের ওপর নির্বিচারে বোমাবর্ষণ করায় ইসরাইল আন্তর্জাতিক সমর্থন হারাচ্ছে। মঙ্গলবার নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহের এক সভায় প্রেসিডেন্ট বাইডেন এ কথা বলেন।
Discussion about this post