১০০ দিনের বেশিতে পা ফেলেছে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধ। দেশটিকে আষ্টেপৃষ্ঠে সামরিকভাবে সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ফিলিস্তিনের দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান নিয়ে দেশটির সাথে ইসরায়েলের দূরত্ব ক্রমশ বেড়ে চলেছে।
গত বেশ কয়েক বছর ধরে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের কথা বলে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি বলছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সমাধান দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক নীতির ভিত্তিতে হবে। দেশটির পক্ষ থেকে এমন দাবির কথা বলা হলেও কার্যত কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্র দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের কথা বললেও তাদের মিত্র দেশ ইসরায়েল এমনটির দিকে মত দিচ্ছে না। তারা বলছে, বিষয়টি এমনভাবে ঘটবে না। মূলত এমন অবস্থাতে ২০ বছরের বেশি সময় ধরে আটকে আছে ফিলিস্তিন ইস্যু।
যুক্তরাষ্ট্র দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের কথা বললেও তাদের মিত্র দেশ ইসরায়েল এমনটির দিকে মত দিচ্ছে না। তারা বলছে, বিষয়টি এমনভাবে ঘটবে না। মূলত এমন অবস্থাতে ২০ বছরের বেশি সময় ধরে আটকে আছে ফিলিস্তিন ইস্যু।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এখন সময় এসেছে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার। অতএব মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বিষয়টি নিয়ে নেতানিয়াহুকে চাপ অব্যাহত রাখবেন। এমনকি এখন প্রকাশে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে প্রকাশে সমালোচনা করে কথা বলতে পারে হোয়াইট হাউস।
সূত্র বলছে, হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের যুদ্ধ কৌশল নিয়ে হতাশা প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও বিষয়টি এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। তবে এটি নিয়ে জোরেশোরে রুদ্ধদ্বার আলোচনা চলছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে যে বিষয়টি নিয়ে বাইডেন-নেতানিয়াহুর মধ্যকার সম্পর্কে দূরত্ব দেখা দিতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। এরপর থেকে দেশটিকে সমর্থন দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্র সহায়তা দিয়েছেন। এছাড়া অভিযোগ রয়েছে যে ইউক্রেনের জন্য প্রস্তুতকৃত অস্ত্রকেও সহায়তা হিসেবে ইসরায়েলকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
কেবল তাই নয়, হোয়াইট হাউস যুদ্ধের পর নিজেদের রণতরী মধ্যপ্রাচ্যে পাঠিয়েছে। এ ছাড়া দেশটিকে সমর্থনের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা হয়েছে।
এ জেড কে/
Discussion about this post