যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কথা বলার পর ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। মঙ্গলবার (২৪ জুন) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তারা ইরান থেকে উৎক্ষেপণ করা কতগুলো ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে।
তারা বলেছে যে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হুমকি প্রতিহত করার জন্য কাজ করছে। সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে থাকতে বলেছে তারা।
তবে এসব ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের বিবরণ এখনও স্পষ্ট নয়, এছাড়া ইরানও আক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কথা বলার পর এসব ক্ষেপণাস্ত্র এসেছে বলে দাবি করছে ইসরায়েল।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এর আগে বলেছিলেন যে, তারা কেবল তখনই আক্রমণ বন্ধ করবে যদি ইসরায়েল একই কাজ করে।
এর আগে, ইরান ও ইসরায়েলর মধ্যে ভয়াবহ সংঘাতের মধ্যে গত ২১ জুন ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। জবাবে সোমবার রাতে কাতার ও ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালায় তেহরান। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, ইসরায়েল ও ইরান একটি ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক’ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
উল্লেখ্য, কোনোপ্রকার উসকানি ছাড়াই গত ১৩ জুন দিনগত রাত হঠাৎ ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এই অভিযানে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইহুদিবাদী সেনারা।
হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, দেশটির ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার হোসেইন সালামি, খাতাম আল-আনবিয়া সদরদপ্তরের কমান্ডার ও বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল গোলাম আলি রশিদ ও দশজন পরমাণু বিজ্ঞানীসহ ৫০০ এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
ইসরায়েলের হামলার পর পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩ নামে’ অভিযান শুরু করে ইরান। তেহরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে ভেদ করে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানছে। এতে হতাহত কম হলেও ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।
দুই দেশের মধ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যে গত ২১ জুন দিনগত রাতে ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। জবাবে সোমবার রাতে কাতার ও ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালায় তেহরান।
এম এইচ/
Discussion about this post