ত্রিপুরায় একজন জনজাতি যুবকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিক্ষুব্ধ জনজাতির লোকেরা বাঙালিদের বহু বাড়িঘরে ভাঙচুর, মারপিট এবং অগ্নিসংযোগ করেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় গত ৭ জুলাই ত্রিপুরার ধোলাই জেলার গন্ডাছড়া এলাকায় আনন্দমেলায় আসা দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের গঠনা ঘটে। এই ঘটনায় পরমেশ্বর রিয়াং নামে এক জনজাতি যুবক গুরুতর আহত হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে আগরতলার জিবি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার(১২ জুলাই) তার মৃত্যু হয়।
আগরতলা থেকে মৃতদেহ গন্ডাছড়া এলাকায় পৌঁছতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে যায়। এলাকায় পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং উত্তেজিত জনজাতি অংশের মানুষ রাতের আঁধারে বাঙালি এলাকায় হামলা চালিয়ে বহু বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনার খবর পেয়ে প্রশাসন তৎপর হয়ে ওঠে এবং সমগ্র গন্ডাছড়া এলাকায় জুড়ে ১৪৪ধারা জারি করা হয়।
পুলিশ প্রশাসনের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে । সেই সঙ্গে গন্ডাছড়া এলাকায় সিআরপিএফ এবং প্রিয় স্যার বাহিনী মোতায়েন করা হয়। গোটা গন্ডাছড়া এলাকা জুড়ে এখন থমথমে পরিস্থিতি। এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই সারা রাজ্যেই জনজাতি এবং বাঙালিদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এই পরিস্থিতিতে জনজাতি ভিত্তিক দল তিপ্রামথা দলের সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর দেব বর্মন এক অডিও বার্তা জারি করে জনজাতি অংশের মানুষদের শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু তার এই অডিও বার্তা নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে, তিনি তার অডিও বার্তায় জনজাতি অংশের মানুষদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার কথা বলেছেন। এই পরিস্থিতিতে বাঙালিদের একাংশের প্রশ্ন একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে কি করে শুধুমাত্র একটি গোষ্ঠীর মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার কথা বলতে পারেন? সচেতন মহলের আহ্বান রাজ্যে শান্তির পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সকলকে এগিয়ে আসা উচিত। যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা না যায় তাহলে গন্ডাছড়া এলাকার এই অশান্তি রাজ্যের অন্যান্য জায়গাতেও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা সচেতন মহলের।
সুত্রঃ বাংলা নিউজ ২৪. কম
এ এ/
Discussion about this post