বাংলাদেশে সোমবার (৮ জুলাই) থেকে মহররম মাস গণনা শুরু হয়। সে হিসেবে বুধবার (১৭ জুলাই) পালিত হবে পবিত্র আশুরা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আশুরার রোজা কবে রাখতে হবে।
আশুরা ইসলামের ইতিহাসে ঐতিহাসিক তাৎপর্যপূর্ণ দিবস। এটি আরবি শব্দ; আশারা থেকে শব্দটির উৎপত্তি। এর অর্থ হচ্ছে দশ। আরবি সনের প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখকে পবিত্র আশুরা বলা হয়।
আশুরার রোজার ফজিলত সম্পর্কে নবীজি যা বলেছেন
নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশুরার রোজা নিজে রেখেছেন এবং উম্মতকে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন আশুরার দিনে রোজা রাখেন এবং অন্যদেরও রোজা রাখার নির্দেশ দেন।
তখন সাহাবিরা অবাক হয়ে বলেন, ‘হে আল্লাহর রসুল, ইহুদিরা তো এই দিনটিকে মহান দিন মনে করে। এ দিনে তারাও রোজা পালন করে। আমরা যদি এ দিনে রোজা রাখি তাহলে তো এদের সঙ্গে সামঞ্জস্য হবে।’ তাদের প্রশ্নের জবাবে নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তারা যেহেতু এদিন একটি রোজা রাখে, আগামী বছর ১০ তারিখের সঙ্গে ৯ তারিখ মিলিয়ে দুই দিন রোজা পালন করবো, ইনশাআল্লাহ। (মুসলিম: ১১৩৪)
আরেক বর্ণনায় নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
তোমরা আশুরার দিনে রোজা রাখো, তবে এ ক্ষেত্রে ইহুদিদের সঙ্গে মিল না হওয়ার জন্য ১০ তারিখের আগের দিন অথবা পরের দিন আরও একটি রোজা রেখো। (মুসনাদে আহমদ: ২১৫৪)
উপরোক্ত হাদিসের আলোকে প্রমাণিত হয় যে, আশুরার রোজা দুটি রাখতে হবে। মহররমের ১০ তারিখ বুধবার (১৭ জুলাই) একটি, আর এর আগে মহররমের ৯ তারিখ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) অথবা পরের দিন মহররমের ১১ তারিখ বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) আরও একটি।
এ এ/
Discussion about this post