ভারত মহাসগর থেকে চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান কবির গ্রুপের এমভি আব্দুল্লাহর অপহরণ এখন টক অব দ্য কান্ট্রি।জলদস্যুদের হাতে জিম্মি রয়েছে ২৩ জন নাবিক। এরমধ্যে জাহাজের মালিকপক্ষ জানিয়েছেন আশার কথা। তারা বলছেন, ২০১০ সালে জাহাজ মণি নামের জাহাজটি যেভাবে অপহরণের পর মুক্তিপণ ও কূটনীতিক প্রচেষ্টায় নাবিকরা মুক্তি পেয়েছিলেন। এবারও ঠিক সেভাবে নাবিকদের মুক্ত করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
২০১০ সালের ১১ই নভেম্বর ব্রেভ রয়েল শিপিংয়ের মালিকানাধীন জাহাজ এমভি জাহান মণি ৪৩ হাজার ১৫০ টন নিকেল আকরিক নিয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে যাত্রা শুরু করে।এরপর ২০১০ সালের ৫ই ডিসেম্বর জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ে।ছিনতাইয়ের পরপরই জাহাজটির গতিপথ সোমালিয়ার দিকে ঘুরিয়ে দেয়া হয়। ওই ঘটনার পর ১২ই ডিসেম্বর জলদস্যুরা , মালিকপক্ষের সঙ্গে প্রথম যোগাযোগ করে। এরপর থেকে দস্যুদের সঙ্গে স্যাটেলাইট ফোনে প্রায় নিয়মিতই মুক্তি নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
অবশেষে ছিনতাইয়ের ১০০ দিনের মাথায় ২০১১ সালের ১৪ই মার্চ সকাল ১০ টা ২৫ মিনিটে নাবিক এবং জাহাজটি জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হয়। জাহাজটি নাবিকদের নিয়ে সোমালিয়ার উপকূলীয় গ্রাম গারাকাড থেকে ওমানের সালালা বন্দরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। সোমালিয়ার জলদস্যুরা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে জাহাজটি সেখানকার জলসীমা পার করে দেয়, যাতে তারা আবার জলদস্যুদের কবলে না পড়েন।
এদিকে অতীতের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নাবিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে বলে পরিবারের সবাইকে আশ্বস্ত করেছেন কবির গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর। এদিকে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন রকম আশার বাণী শোনালেও নাবিকদের পরিবারের সদস্যদের ভয় কাটছে না। নানা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নিয়েই বুধবার সকালে নগরের আগ্রাবাদে বারিক বিল্ডিং এলাকায় কবির গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে ভিড় করতে শুরু করেন তারা।
তবে বুধবার রাতে সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, নাবিকরা ভালো আছেন। জলদস্যুরা সবাইকে সাহরি খেতেও দিয়েছেন। এরমধ্যে তাদেরকে বহনকারী জাহাজ সোমালিয়ার উপত্যকার দিকে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে এটি উপকূলের কোথাও নোঙর করবে। মার্চেন্ট নেভির ক্যাপ্টেন আতিক ইউএ খানের কাছে অপরিচিত নম্বর থেকে পাঠানো অডিও বার্তায় এমন তথ্য জানান জাহাজের চিফ অফিসার ক্যাপ্টেন মো. আতিক উল্লাহ। এখন পর্যন্ত কাউকে শারীরিকভাবে আঘাত করা হয়নি। সবাই যেহেতু কো-অপারেশনে জলদস্যুরাও ভালো আচরণ করছে বলে জানান তিনি ।
এস আর/
Discussion about this post