মহান আল্লাহ তাআলার নিকটবর্তী পৌঁছার অন্যতম একটি আমল কোরবানি। নির্দিষ্ট দিনসমূহে সামর্থ্যদের ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। কিন্তু টাকা খরচ করে যদি কোরবানি আদায় না হয় তাহলে মহান আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে কোনো কাজে আসবে না। কিছু ভুলের কারণে আমাদের অজানতেই কোরবানি হচ্ছে না।
বিশেষ করে কোরবানি কবুল হওয়ার জন্য একনিষ্ঠ নিয়ত জরুরি। আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে সন্তুষ্টি অথবা লোক দেখানো উদ্দেশ্য থাকলে কোরবানি কবুল হবে না।
এছাড়া হারাম টাকায় কোরবানি হবে না। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা পবিত্র, তিনি পবিত্র ও হালাল বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না।’ (মুসলিম ১০১৫)
পশুর বয়স শরিয়ত নির্ধারিত বয়সের কম হওয়া। উটের বয়স ৫ বছর হতে হবে। গরু ও মহিষের বয়স ২ বছর হতে হবে। ছাগলের বয়স এক বছর হতে হবে। ভেড়া ও দুম্বার বয়সও এক বছর তবে সংকটের সময় ৬ মাসের হলে সমস্যা নেই।
ত্রুটিপূর্ণ পশু দিয়ে কোরবানি হবে না। হাদিসে এসেছে, চার ধরনের পশু দিয়ে কোরবানি হবে না। অন্ধ, যার অন্ধত্ব স্পষ্ট; রোগাক্রান্ত, যার রোগ স্পষ্ট; পঙ্গু, যার পঙ্গুত্ব স্পষ্ট ও আহত, যার কোনো অঙ্গ ভেঙে গেছে।
কোরবানির পশু জবাইয়ের সময় ইচ্ছাকৃত বিসমিল্লাহ না বললে কোরবানি হবে না। কিন্তু যদি ভুলে বিসমিল্লাহ না বলে, তাহলে কোরবানি হয়ে যাবে।
এ ছাড়া জেনেশুনে হারাম উপার্জনকারীকে কোরবানির অংশীদার করলে অন্য শরিকদের কোরবানিও সহিহ হবে না। তাই অত্যন্ত সতর্কতার সাথে শরিক নির্বাচন করতে হবে।
এস এইচ/
Discussion about this post