বিপিএলের সিলেট পর্বে খুলনা টাইগার্সের সামনে সুযোগ ছিল জয়ের হ্যাটট্রিক করার তবে সামনে ছিল এ মৌসুমের কাগজে কলমে ফেভারিট রংপুর রাইডার্স। খুলনার বাঘরা অবশ্য রংপুরকে পাত্তাই দিল না সিলেটে পর্বের প্রথম ম্যাচে অনেকটা হেসে খেলেই সাকিব-বাবরের রংপুরকে হারিয়ে বিপিএলে তৃতীয় জয় তুলে নিল এনামুল হক বিজয়ের খুলনা টাইগার্স।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুপুর দুইটায় শুরু হওয়া ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান করে খুলনা। জবাব দিতে নেমে ১৩২ রানে অলআউট হয় রংপুর। রংপুর রাইডার্সের পক্ষে একা লড়েন আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী। আর এদিকে রংপুরকে ২৮ রানে হারিয়ে ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থান আরো মজবুত করল খুলনা।
বিপিএলের নবম ম্যাচে ১৬১ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ৫ ওভারে মাত্র ১৩ রান করে রংপুর সে সাথে হারায় ২ উইকেট। এটিতেই মূলত ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় তারা। ৮ বলে ২ রান করেন আগের ম্যাচের নায়ক বাবর আজম ও ৫ বলে ১ রান করে বিদায় নেন ব্রান্ডন কিং। দলীয় ৪৯ রানে রনি তালুকদার আউট হন টেস্ট মেজাজে খেলে। ২৫ বলে ১৫ রান করেন তিনি।
চারে নেমে ২৫ বলে ২২ রান করে আউট হয়ে যান শামীম পাটোয়ারী। পরের লড়াইটা ছিল শুধুই মোহাম্মদ নবীর। এদিন আট নম্বরে ব্যাট করতে নামেন সাকিব। ৪ বলে ২ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে নবী ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৩০ বলে ৫০ রান করেন।
খুলনা টাইগার্সের হয়ে দারুণ বোলিং করেন দাসুন শানাকা। ৩ ওভারে ১৬ রান খরচায় তিনি নেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট পান মোহাম্মদ ওয়াসিম ও মোহাম্মদ নাওয়াজ। একটি উইকেট নেন নাসুম আহমেদ। এদিকে দিনের শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি খুলনার। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই মাহাদী হাসানের বলে শূন্য রানে ফেরেন অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে এসে মাহমুদুল হাসান জয়ও মাহাদীর কাছে উইকেট বিলিয়ে দেন। আফিফ হোসেনও বেশিক্ষণ টেকেননি। ৬ বলে ৪ রানে হাসান মাহমুদের শিকার হন তিনি। আগের ম্যাচের মতো এভিন লুইস ভয়ঙ্কর হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু ৩৭ রানের বেশি তাকে এগোতে দেননি হাসান।
এরপর পঞ্চম উইকেটে জুটি বাঁধেন দাসুন শানাকা ও মোহাম্মদ নাওয়াজ। শুরুতে ধীরে-সুস্থে খেলে চাপ কমান দলের ওপর। ১৬তম ওভারে এসে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন দুজনই। রিপন মণ্ডলের করা সেই ওভারে আদায় করেন ১৮ রান। ১৩ রান নেন পরের ওভারে। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের করা ১৮তম ওভারে আসে ১৫ রান।
তবে ১৯তম ওভারে শানাকাকে বোল্ড করে ৭৭ রানের এই জুটি ভাঙেন হাসান। ৩৩ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৪০ রান করেন শানাকা। তবে ফিফটি তুলে নেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। ৩৪ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৫ রানে রিপনের শিকার হন এই পাকিস্তানি অলরাউন্ডার। শেষ পর্যন্ত নাওয়াজের ৫৫ ও দাসুন শানাকার ৪০ রানে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান করে খুলনা। রংপুরের পক্ষে হাসান মাহমুদ ৩টি ও শেখ মাহাদী হাসান নেন ২টি উইকেট।
এ এস/
Discussion about this post