জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদপন্থীদের ডাকা দশম জাতীয় সম্মেলনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন দলটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ। নতুন কমিটিতে নির্বাহী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন কাজী ফিরোজ রশীদ। মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন কাজী মামুনুর রশীদ।
শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে দলের দশম সম্মেলনে আগামী তিন বছরের জন্য এই কমিটি নির্বাচিত করেন সারা দেশ থেকে আগত কাউন্সিলররা।
সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশনে গঠিত নির্বাচন কমিশনের আহ্বায়ক সারোয়ার হোসেন মিলন রওশন এরশাদকে চেয়ারম্যান হিসেবে প্রস্তাব করেন। এ সময় কাউন্সিলররা হাত তুলে সমর্থন জানালে মিলন বলেন, ‘অনানুষ্ঠানিকভাবে এখন থেকে রওশন এরশাদ আমাদের দলের চেয়ারম্যান।’
এরপর দলের অপর প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর দলের অন্যান্য সিনিয়র নেতাদের নাম ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, দলের নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে কাজী ফিরোজ রশীদ, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আবু হোসেন বাবলা, কো-চেয়ারম্যান হিসেবে সাইদুর রহমান টেপা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, সাদ এরশাদ, গোলাম সারওয়ার মিলন এবং সুনীল শুভ রায় দায়িত্ব পালন করবেন। এর আগে গঠনতন্ত্র সংশোধনী প্রস্তাবে ১৯টি সংশোধনী প্রস্তাব করেন গঠনতন্ত্র সংশোধনী উপকমিটির আহ্বায়ক সুনীল শুভ রায়।
সম্মেলনের সভাপতির বক্তব্যে বেগম রওশন এরশাদ বলেন, ‘আজ যদি এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত না হতো তাহলে জাতীয় পার্টি হারিয়ে যেত। হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে আমরা হারিয়ে ফেলতাম। দেশের মানুষ জাতীয় পার্টির দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিত। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেই তার প্রতিফলন ঘটেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আদালতের সুবিচারে পল্লিবন্ধু এরশাদ এবং আমি লাঙ্গল প্রতীক জাতীয় পার্টির জন্য বরাদ্দ পেয়েছিলাম। সেই লাঙ্গল প্রতীক এখনো আমাদের জাতীয় পার্টির অনুকূলে আছে এবং আগামীতেও থাকবে ইনশা আল্লাহ।’
সম্মেলনে অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন—বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান নাজিমুদ্দিন আল আজাদ, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের চেয়ারম্যান এম এ মতিন, জাতীয় পার্টি (জেপি) মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী প্রমুখ।
এফএস/
Discussion about this post