ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ক গতকাল রোববার (২৮ জুলাই) সব আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। তবে এই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে গতকালই নতুন করে আন্দোলনের ডাক দেন বাইরে থাকা কয়েকজন সমন্বয়ক। তারা সোমবার (২৯ জুলাই) সারাদেশে ‘ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ’ কর্মসূচি এবং ‘প্রতিবাদ সমাবেশ’-এর ঘোষণা দেন।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণায় আগাম মাঠে নেমেছে পুলিশ। সোমবার সকাল থেকেই ঢাকার রাস্তার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়ে পুলিশসহ অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন।
ঢাকাসহ সারাদেশে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় রয়েছে সেনাবাহিনীর টহল।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর, মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর, বাড্ডা, রামপুরা, প্রেস ক্লাব, যাত্রাবাড়ীতে বাড়ানো হয়েছে পুলিশের উপস্থিতি। সড়কেও বাড়তি পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেছে। সড়কে যানবাহনের চাপও রয়েছে।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশ হিসেবে রাজধানীর মিরপুর ১০, ইসিবি চত্বর ও ধানমন্ডির স্টার কাবাবের সামনে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এসময় মিরপুর ১০ নম্বরের গোলচত্বর থেকে ১০ জনকে এবং ধানমন্ডির স্টার কাবাবের সামনে থেকে কিছু শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ।
বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, রাজধানীর পল্টনে বিক্ষোভকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সহসমন্বয়কারীসহ চার শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। পল্টন মোড়ে বিক্ষোভের সময় তাদের আটক করা হয়।
বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম জানান, বর্তমানে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয় সেজন্য রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানসহ সারাদেশে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।
ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, বিশৃঙ্খলাসহ যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঢাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মানুষের জান-মালের নিরাপত্তায় মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এস এম/
Discussion about this post