নামাজ ও অন্যান্য ইবাদতের জন্য পবিত্র হতে হয়। তার মধ্যে অন্যতম হলো অজু করে পবিত্র হওয়া। আর পবিত্রতা অর্জনকারীদের আল্লাহ তাআলা ভালোবাসেন (সুরা তওবা ১০৮)।
অন্যদিকে ঘুম মহান আল্লাহ তাআলার অশেষ নেয়ামতগুলোর মধ্যে একটি। এর মধ্য দিয়ে দিনের সমস্ত ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আমি তোমাদের ঘুমকে করেছি ক্লান্তি দূরকারী। রাতকে করেছি আবরণ’ (সুরা নাবা ৯-১০)।
অজুর বিশেষ ফজিলতের কথা এসেছে বেশ কিছু হাদিসে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) আনহু বর্ণনা করেন, রসুল (স.) বলেন, যখন কোনো মুসলিম অথবা মুমিন বান্দা অজু করে আর সে তার মুখ ধৌত করে, তখন অজুর পানি অথবা অজুর পানির শেষ ফোটার সঙ্গে সঙ্গে তার চেহারা থেকে সব গুনাহ বের হয়ে যায়। যা সে তার দুচোখ দিয়ে দেখেছিল। আর যখন সে তার দুহাত ধৌত করে তখন অজুর পানি বা অজুর পানির শেষ ফোটার সঙ্গে সঙ্গে তার উভয় হাত থেকে সকল গুনাহ বের হয়ে যায়, যা সে হাত দিয়ে ধরেছিল, এমনকি শেষ পর্যন্ত সে তার গুনাহ থেকে পাক হয়ে যায়। (তিরমিজী ২, মুসলিম ৪৭০)
এ ক্ষেত্রে নামাজের জন্য অজু ফরজ। কাবা শরিফ তওয়াফের জন্য অজু করা ওয়াজিব। আর গোসল কিংবা ঘুমানোর আগে অজু করা মুস্তাহাব। হাদিসে এসেছে, বারা ইবনু আজিব (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুল (স.) বলেছেন, যখন তুমি বিছানায় যাবে তখন নামাজের অজুর মতো অজু করে নেবে। তারপর ডান পাশে শুয়ে বলবে,
اللَّهُمَّ أَسْلَمْتُ وَجْهِي إِلَيْكَ وَفَوَّضْتُ أَمْرِي إِلَيْكَ وَأَلْجَأْتُ ظَهْرِي إِلَيْكَ رَغْبَةً وَرَهْبَةً إِلَيْكَ لاَ مَلْجَأَ وَلاَ مَنْجَا مِنْكَ إِلاَّ إِلَيْكَ اللَّهُمَّ آمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِي أَنْزَلْتَ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আসলামতু ওয়াজ্হিয়া ইলাইকা ওয়াফাউওয়াদতু আমরিয়া ইলাইকা ওআলজাআতু জাহরিয়া ইলাইকা রাগাবাতান ওরাহবাতান ইলাইকা লা মালজাআ ওয়া-লা মানযা’আ মিনকা ইল্লা ইলাইকালল্লাহুম্মা আমানতু বিকিতাবিকাল্লাজি আনঝালতা।
অর্থ: ‘হে আল্লাহ্! আমার জীবন আপনার কাছে সমর্পণ করলাম। আমার সকল কাজ আপনার কাছে সোপর্দ করলাম এবং আমি আপনার আশ্রয় গ্রহণ করলাম, আপনার প্রতি আগ্রহ ও ভয় নিয়ে। আপনি ছাড়া কোনো আশ্রয়স্থল ও নাজাতের স্থান নেই। হে আল্লাহ্! আমি ঈমান আনলাম আপনার নাযিলকৃত কিতাবের ওপর এবং আপনার প্রেরিত নবীর ওপর।’
হাদিস বর্ণনাকারী বলেন, রসুল (স.) বলেছেন, এ দোয়া পড়ার পর যদি সে রাতেই কারও মৃত্যু হয়, তবে ফিতরাতে ইসলামের (স্বভাবধর্ম ইসলামের ওপর) ওপর তার মৃত্যু হবে। এ কথাগুলো তোমার শেষ কথা বনিয়ে নাও। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৪৫)
এম এইচ/
Discussion about this post