অলিম্পিক ফুটবলে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে রাতে মুখোমুখি হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। কনমেবল প্রি-অলিম্পিক টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচে রোববার (১১ জানুয়ারি) মুখোমুখি হচ্ছে দুদল।
প্যারিস অলিম্পিকের বাছাইয়ে যে জটিল সমীকরণ তৈরি হয়েছে তাতে ব্রাজিল কিংবা আর্জেন্টিনার মধ্যে যে কোনো এক দলের ভাগ্যের শিকে ছিঁড়বে। অর্থ্যাৎ প্যারিস অলিম্পিকের ফুটবলে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা দুই দলকেই একসঙ্গে খেলতে দেখার কোনো সম্ভাবনাই আর নেই। ফুটবলের সবচেয়ে জনপ্রিয় দুই দলের একটি দর্শক সারিতে বসে এই টুর্নামেন্ট দেখবে।
চূড়ান্ত পর্বে খেলা চার দলের মধ্যে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে প্যারাগুয়ে। ৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ব্রাজিল, ২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আর্জেন্টিনা। ১ পয়েন্ট নিয়ে চারে ভেনিজুয়েলা। এখান থেকে মূলপর্বে যাবে কেবল দুই দল। সব দলেরই বাকি আছে একটি করে ম্যাচ।
প্যারাগুয়ের সমীকরণটা তুলনামূলক সহজ। চারে থাকা ভেনিজুয়েলার বিপক্ষে ড্র করতে পারলেই অলিম্পিকের চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নেবে তারা। হারলেও চূড়ান্ত পর্বে ওঠার সুযোগ আছে তাদের। সেক্ষেত্রে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচে যেকোনো এক দলকে জয় পেতে হবে।
ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার মধ্যে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে ব্রাজিল। ভেনিজুয়েলার বিপক্ষে প্যারাগুয়ে যদি ড্র করে বা জিতে, সেক্ষেত্রে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ড্র করলেই মূল পর্বে উঠবে সেলেসাওরা। তবে জয় ছাড়া কোনো বিকল্প নেই আর্জেন্টিনার। অলিম্পিকে জায়গা পেতে হবে ব্রাজিলের বিপক্ষে জিততেই হবে আলবিসেলেস্তিদের।
অনূর্ধ্ব ২৩ বয়সী খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া দলই অংশ নেয় অলিম্পিকে। তবে দলগুলো চাইলেই সর্বাধিক তিনজন এর চেয়ে বেশি খেলোয়াড় খেলাতে পারে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্যারিস অলিম্পিকে লিওনেল মেসিকে খেলাতে চায় আর্জেন্টিনা। কিন্তু চূড়ান্ত পর্বের আগেই বাদ পড়ার শঙ্কায় থিয়াগো আলমাদারা। ২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকে শেষবারের মতো অলিম্পিক ফুটবলে স্বর্ণপদক জিতেছিল আর্জেন্টিনা। সেই অলিম্পিকে আর্জেন্টিনা দলে মেসি ও অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার সঙ্গে ছিলেন সার্জিও অ্যাগুয়েরোও।
অন্যদিকে অলিম্পিকে বারবার স্বর্ণ জিততে ব্যর্থ হওয়ার পর ২০১৬ রিও অলিম্পিকে নেইমারের হাত ধরে প্রথমবারের মতো স্বর্ণপদক জেতে ব্রাজিল। এরপর ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত টোকিও অলিম্পিকেও সোনা ধরে রাখে ব্রাজিল।
এ এস/
Discussion about this post