ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর ইউরোপীয় সেনা পাঠানোর দরজা খোলা রাখার বিষয়ে বলেছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল মাখোঁ। জবাবে রাশিয়া বিন্দুমাত্র বিলম্ব না করে জানিয়ে দেয় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন এই সামরিক জোটের কোনো ইউরোপীয় সদস্য ইউক্রেনে সেনা পাঠালে জোটটির সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে উঠবে। রাশিয়ার এমন কড়া প্রতিক্রিয়ার পর ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা নেই বলে অবস্থান পরিষ্কার করেছে ন্যাটো।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ইউরোপীয় নেতাদের এক বৈঠকে মাখোঁ বলেন, রাশিয়াকে দমনে কৌশল খুঁজছে পশ্চিমারা। এ জন্য কোনো সম্ভাবনা বাদ দেওয়া উচিত নয়। রাশিয়া যাতে জিততে না পারে সে জন্য যা করা দরকার আমরা তাই করব।
তিনি বলেন, (ইউক্রেনে) সেনা পাঠানোর বিষয়ে কোনো ঐকমত্য হয়নি। তবে কোনো কিছুই উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
মাখোঁর এ বক্তব্যের বিষয়ে ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মঙ্গলবার তিনি বলেন, ইউক্রেনের মাটিতে ন্যাটোর সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা নেই।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া হামলা চালালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়। দুই বছর গড়িয়ে তিন বছরে পা দিলেও এখনো এই যুদ্ধ শেষের কোনো দৃশ্যমান লক্ষণ নেই। এ যুদ্ধ ঘিরে ১৯৬২ সালের কিউবা ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর পশ্চিমাদের সঙ্গে সবচেয়ে ভয়াবহ টানাপড়েনে জড়িয়েছে রাশিয়া। এমনকি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ন্যাটো ও রাশিয়ার মধ্যে সরাসরি যুদ্ধের ঝুঁকি সম্পর্কে বেশ কয়েকবার সতর্ক করেছেন।
মাখোঁর বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে মঙ্গলবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ইউক্রেনে কিছু (সেনা) দল পাঠানোর সম্ভাবনা নিয়ে ন্যাটোর সদস্যদের আলোচনার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ নতুন উপাদান। সে ক্ষেত্রে আমাদের ন্যাটোর সঙ্গে (সরাসরি যুদ্ধের) সম্ভাবনা নয় অনিবার্যতা সম্পর্কে কথা বলতে হবে।
সূত্র: আলজাজিরা
এফএস/
Discussion about this post