সরকারি প্রণোদনার পাশাপাশি ব্যাংকগুলো নিজেদের উদ্যোগে রেমিট্যান্সে বাড়তি আড়াই শতাংশ অর্থ দিয়ে আসছিল। ডলারের দাম নির্ধারণে নতুন পদ্ধতি চালুর ফলে নিজেদের দেওয়া প্রণোদনা বন্ধ করে দিয়েছে ব্যাংকগুলো।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বুধবারের পর থেকে অনেক ব্যাংক নিজস্ব প্রণোদনা বন্ধ করে দিয়েছে। এর একমাত্র কারণ হচ্ছে নতুন পদ্ধতি ক্রলিং পেগ চালু হওয়া। কারণ সরকারি প্রণোদনা পেলেই ডলারের দাম ১২০ টাকার কাছাকাছি হয়ে যায়। বাংলাদেশ ব্যাংক বুধবার (৮ মে) ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণে ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালু করার ঘোষণা দেয়। এর ফলে ডলারের মধ্যবর্তী দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৭ টাকা। এর আগে ডলারের আনুষ্ঠানিক দাম ছিল ১১০ টাকা।
এখন বিদেশি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলো প্রবাসী আয়ের ডলারের দাম ১১৭ টাকা থেকে ১১৭ টাকা ৫০ পয়সা স্থির করেছে। এর সঙ্গে সরকারের আড়াই শতাংশের পাশাপাশি ব্যাংকের সমপরিমাণ প্রণোদনা যুক্ত হলে ডলারের দাম হতো ১২৩ টাকা। গত বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স যৌথসভায় সরকারের পাশাপাশি নিজেদের উদ্যোগে প্রবাসী আয়ের ওপর আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
এরপর থেকে সরকারি খাতের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের কিছু ব্যাংক বাড়তি প্রণোদনা দেওয়া শুরু করে। রেমিট্যান্সের ডলার ব্যাংকগুলোকে নিজেদের ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশে আনতে হয়।
এ এস/
Discussion about this post