কুমিল্লায় বিকাশ এজেন্টের গাড়িতে র্যাব পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের দলনেতাসহ ৯ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে র্যাবের জ্যাকেট, হ্যান্ডকাফসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (৪ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি টোলপ্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে এক প্রেসব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান র্যাব- ১১ এর কোম্পানি অধিনায়ক লে. কমান্ডার মাহমুদুল হাসান।
র্যাব জানায়, গত ২৭ অক্টোবর বিকেলে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম এলাকায় র্যাব পরিচয়ে বিকাশের কর্মচারীর গাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসময় ডাকাতদল বিকাশ কর্মচারীদের কাছ থেকে ২৫ লাখ ৯২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বিকাশ ডিস্ট্রিবিউশন ম্যানেজার বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে সোমবার রাতে কুমিল্লার চান্দিনা এলাকায় জনৈক ২ জন ব্যক্তি ডাকাতির শিকার হয়েছে এবং ডাকাত দল ঢাকা অভিমুখে যাত্রা করেছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে মহাসড়কের দাউদকান্দি টোল প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ডাকাত চক্রের দলনেতাসহ ৯ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. সাইফুল ইসলাম (৩২), মো. সাজু মিয়া (৩৩), মো. রিয়াদ (১৯), মো. রবিউল (২৬), মো. মানিক (৪০) মো. রিপন সর্দ্দার (২৯), মো. সাজু (৪৪), মো. রিপন হাওলাদার (৪৫) এবং মো. সজিবকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের নিকট থেকে র্যাবের ৩টি জ্যাকেট, ১টি নকল পিস্তল, ১টি পিস্তল কভার, ১টি ইলেকট্রিক শকার, ২টি ওয়াকিটকি, ২টি র্যাবের মনোগ্রামযুক্ত স্টিকার, ১টি লাঠি, ৩টি টর্চলাইট, ১টি ওয়ারলেস টকিং টুল, ১টি হ্যান্ডকাফ, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১টি নোহা প্রাইভেটকার ও ১টি মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১১ এর কোম্পানি অধিনায়ক লে. কমান্ডার মাহমুদুল হাসান জানান, গ্রেপ্তাররকৃতরা সংঘবদ্ধ একটি আন্তঃজেলা ডাকাত চক্র। এই চক্রে ১০/১২ জন সদস্য রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতদলের নেতা সাইফুল এর নেতৃত্বে তারা প্রায় ১/২ বছর ধরে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করে আসছিল।
এ ইউ/
Discussion about this post