দেশে মানবাধিকার সুরক্ষায় চরম বিতর্ক, আর ব্যর্থতার দায় নিয়ে ছাত্র ও জনতার ২৩ দিনের দেশ কাঁপানো আন্দোলনে পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। ৫ আগস্ট বিদায় নেয় হাসিনা সরকার। কেমন ছিলো সে সময়কার পরিস্থিতি? তারই পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ ও বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ভবিষ্যতের করণীয় এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
আজ মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) প্রকাশিত হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ৫০–পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে এমনি তথ্য উঠে এসেছে।
যার প্রেক্ষিতে বিশেষায়িত ইউনিট র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ানকে (র্যাব) ডেথ স্কোয়াডের সাথে তুলনা করে দাবি করা হয় বাহিনীটির বিলুপ্তির। সেই সঙ্গে র্যাবের সকল কর্মকর্তা যেনো অন্য বাহিনীতে গিয়েও ভবিষ্যতেও গুম, হত্যা কিংবা ক্রসফায়ারের মতো অপকর্মে না জড়ায় সেজন্য তাদের মানবাধিকার বিষয়ক প্রশিক্ষণের সুপারিশ করা হয়।
নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠনটি বাংলাদেশের সংস্কার নিয়ে তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর দ্রুত ও কাঠামোগত সংস্কার ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের কষ্টার্জিত অর্জন বৃথা যেতে পারে।
এ বিষয়ে এইচ আর ডব্লিউ এর জ্যেষ্ঠ গবেষক জুলিয়া ব্লেকনার গণমাধ্যমকে ফোনে বলেন, অন্তবর্তী সরকারের উচিত টেকসই কাঠামোগত সংস্কারের জন্য জাতিসংঘের সমর্থন তালিকাভুক্ত করা এবং অতীতের অপব্যবহার যেন কোনোভাবেই বাংলাদেশের ভবিষ্যতের নীলনকশা হয়ে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
‘আফটার দ্য মুনসুন রেভুলুউশন: আ রোডম্যাপ টু লাষ্টিং সিকিউরিটি সেক্টর রিফর্ম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বিরুদ্ধমত দমনে ব্যবহৃত যেকোনো আইন বাতিলের প্রস্তাব দেয়া হয়। পাশাপাশি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জন প্রশাসন, বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাঠামোগত সংস্কারের আহবান জানিয়েছে এইচ আর ডাব্লিউ।
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যেই দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা, সংবিধান, দুদক ও পুলিশ সংস্কারে গঠিত কমিশনের সুপারিশ জমা পড়েছে প্রধান উপদেষ্টার কাছে।
এস এইচ/
Discussion about this post