লন্ডনে চীনের প্রস্তাবিত নতুন দূতাবাসের বিরুদ্ধে শত শত বিক্ষোভকারী প্রতিবাদ জানিয়েছেন। টাওয়ার অব লন্ডনের কাছে ঐতিহাসিক রয়েল মিন্টের স্থানে এই বিশাল দূতাবাস নির্মাণের পরিকল্পনায় মানবাধিকার ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তারা। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিক্ষোভে স্থানীয় বাসিন্দা, মানবাধিকার সংগঠন এবং চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সমালোচকরা অংশ নেন।
বর্তমানে মেরিলিবোন জেলায় অবস্থিত চীনা দূতাবাসটি স্থানান্তরের পরিকল্পনা কয়েক বছর ধরেই চলছে। ২০১৮ সালে ৩২৭ মিলিয়ন ডলারে রয়েল মিন্টের স্থানটি কিনে নেয় বেইজিং। নতুন দূতাবাসটি ইউরোপের বৃহত্তম চীনা দূতাবাস হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিক্ষোভকারীরা আশঙ্কা করছেন, নতুন দূতাবাসটি ‘বিপ্লবী ব্যক্তিদের হয়রানির’ কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে। একজন প্রতিবাদকারী বলেন, ‘এটি হবে চীনের একটি সদর দপ্তর, যেখানে (হংকংয়ের) লোকজনকে ধরে চীনে ফেরত পাঠানো হবে।’
কনজারভেটিভ পার্টির এমপি টম টুগেনহ্যাট বলেন, ‘এটি কেবল লন্ডনে চীনা দূতাবাসের ব্যাপার নয়, এটি আমাদের স্বাধীনতার ভবিষ্যতেরও বিষয়।’
তিনি দাবি করেন, যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী লোকজন প্রায়ই চীনা রাষ্ট্রীয় এজেন্টদের দ্বারা হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন। তার মতে, নতুন দূতাবাস ‘অর্থনৈতিক গুপ্তচরবৃত্তি বৃদ্ধি’ এবং ‘যুক্তরাজ্যে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির বিরোধীদের নীরব করার প্রবণতা’ বাড়াবে।
প্রধানমন্ত্রী কির স্টারমার বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হংকং ইস্যুতে দুই দেশের সম্পর্ক শীতল হয়ে পড়েছিল।
এই প্রকল্পের বিষয়ে জনসাধারণের মতামত নেওয়া হবে এবং কমিউনিটি সেক্রেটারি অ্যাঞ্জেলা রেইনার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে বিরোধীরা আশঙ্কা করছেন, চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার জন্য লেবার সরকার নিরাপত্তা ও মানবাধিকার ইস্যুগুলোকে উপেক্ষা করবে।
এম এইচ/
Discussion about this post