লিবিয়ার নির্মাণ খাত ও স্বাস্থ্য সার্ভিস সেক্টরে বাংলাদেশিদের চাহিদা রয়েছে। এই তথ্য জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। তিনি জানান, লিবিয়ার সাথে বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানি সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, এখনই লিবিয়া যাওয়ার জন্য কোনো এজেন্সির সাথে লেনদেন করা যাবে না।
দেশটিতে কোন প্রক্রিয়ায় কর্মী পাঠানো হবে তা এখনো নির্ধারণ হয়নি। প্রবাসী মন্ত্রীর দাবি, লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পথে ঝুঁকি নিয়ে ইউরোপে পাঠানোর নামে মানবপাচারের শিকার হচ্ছেন বহু বাংলাদেশি। এসব মানবপাচারের সাথে জড়িত বাংলাদেশি দালালরাই। এমন কাণ্ডে বর্হিবিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে আক্ষেপ করেন মন্ত্রী।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রবাসে মৃত কর্মীদের পরিবারের হাতে আর্থিক ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। এর পর তিনি এসব তথ্য জানান।
প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীনের সভাপতিত্বে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের উদ্যোগে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী। এসময় ১৫টি পরিবারের হাতে প্রায় ৬ কোটি টাকার চেক তুলে দেন। এর মধ্যে একটি পরিবারের হাতে ১০ লাখ টাকার জীবন বিমা ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, সরকার প্রবাসীদের কল্যাণ ও অধিকার আদায়ে অঙ্গীকারাবদ্ধ। বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসীদের যেকোন বিপদে সরকার তাদের পাশে রয়েছে। মন্ত্রণালয় বিদেশস্থ শ্রম কল্যাণ উইংয়ের মাধ্যমে কর্মীর সামগ্রিক নিরাপত্তা ও সকল ধরণের সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছে বলেও জনান তিনি।
Discussion about this post