যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে প্রথম দফায় ৫৪ জন প্রবাসী দেশে পৌঁছেছেন। এদের মধ্যে ৭ শিশুও রয়েছে। এ ৫৪ জন সম্পূর্ণ সরকারি খরচে দেশে এলেন।
সোমবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে জেদ্দা হয়ে তারা দেশে ফেরেন। এসময় লেবানন ফেরত প্রবাসীদের বিমানবন্দরে স্বাগত জানান প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা ডক্টর আসিফ নজরুল। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এর আগে শনিবার (১৯ অক্টোবর) লেবাননস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্থানীয় সময় রোববার (২০ অক্টোবর) রাত ১০টা ৫০ মিনিটে বৈরুতের রফিক হারিরি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৫৪ জন প্রবাসী বাংলাদেশি সৌদি আরবের শহর জেদ্দার উদ্দেশে রওনা হবেন। তারা দিবাগত রাত ১টা ২০ মিনিটে জেদ্দা বিমানবন্দর পৌঁছাবেন। সেখান থেকে সোমবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন এবং সন্ধ্যা ৬টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়ে পৌঁছাবেন।
এদিকে, আগামী ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফায় ৬৫ জন ঢাকায় আসবে বলে জানানো হয়েছে। যাদের মধ্যে দুই জন শিশু রয়েছে। আগামী ২৩ অক্টোবর ঢাকায় এসে পৌঁছাবে তারা। লেবাননে চলমান যুদ্ধপরিস্থিতির কারণে প্রথম দফায় এবং দ্বিতীয় দফা মিলে দেশে ফেরত আসবেন ১১৯ জন বাংলাদেশি।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, লেবাননে অবস্থানরত বাংলাদেশির সংখ্যা প্রায় ৭০ হাজার থেকে এক লাখ। এর মধ্যে এক হাজার ৮০০ জনের মতো দেশে ফেরত আসার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন। যারা রেজিস্ট্রেশন করেছেন, তাদের মধ্যে ১৬৭ জনের লিগ্যাল ডকুমেন্টস আছে, বাকি এক হাজার ৬২৩ জন আনডকুমেন্টেড।
আইওএম ২০০ জনকে চার্টার্ড ফ্লাইটে ফেরত আনার জন্য কাজ করছে। অন্যদের জন্য সরকার ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হবে, প্রতিদিন প্রায় ৫০ জনের মতো আসতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, লেবাননে ইসরায়েলের মুহুর্মুহু হামলার পরিস্থিতিতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা আতঙ্কে রয়েছেন। অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্র কিংবা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। এসব প্রবাসীদের ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
এ ইউ/
Discussion about this post