বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, বেশ কিছু পাওয়ার প্লান্ট বন্ধ থাকায় গত মাসে দেশের কিছু কিছু অঞ্চলে লোডশেডিং হলেও বর্তমানে তা শূন্যে নেমে এসেছে। সোমবার (৬ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দাবি করেন।
তিনি বলেন, সারা দেশের কিছু কিছু অঞ্চলে আমাদের কিছুটা লোডশেডিং করতে হয়েছে। বিশেষ করে, গ্রামাঞ্চলের অনেক জায়গায়। গত একমাস যাবত এটা আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্ধ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো আমরা ধীরে ধীরে চালু করছি। তেল ও আর্থিক স্বল্পতা ছিল। যারা তেল আনার কথা, যেসব প্রাইভেট বিদ্যুৎ কেন্দ্র, তারা আনতে পারছিলেন না। যে কারণে প্রথমদিকে দেড় হাজার মেগাওয়াটের মতো লোডশেডিং ছিল। তবে সেটা কমে এসেছে। পরে ৫০০ থেকে শূন্যে নেমে এসেছে।
কোথাও লোডশেডিং করে আরেক জায়গায় বিদ্যুৎ দেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হবে না জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগের চেয়ে ভালো অবস্থায় আমরা আছি। আজ দেখবেন জিরো লোডশেডিং। ধীরে ধীরে কমে আসছে।
একদিকে উৎপাদনের রেকর্ড, অন্যদিকে লোডশেডিং- এটা কেন, জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, উৎপাদনের রেকর্ড সঙ্গে সর্বোচ্চ চাহিদাও আছে। কাজেই এখানে একটা পার্থক্য আছে। এবার বিগত ৫০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। সেটার জন্য আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না। অর্থের সংস্থান এবং তেলের চাহিদা, এ দুটোর সমন্বয় করতে যতটুকু সময় লেগেছে, সেই সময়ে গ্রামাঞ্চলসহ বিভিন্ন জায়গায় লোডশেডিং করতে হয়েছে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো।
এ এস/
Discussion about this post