বঙ্গোপসাগরে ফের একটি লঘুচাপ তৈরির আভাস পাওয়া গেছে। লঘুচাপটি ক্রমেই শক্তি সঞ্চয় ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে আগামী কয়েকদিনে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
পূর্বাভাস অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে এর নাম হবে ‘ডানা’। এটি কাতারের দেয়া নাম। ঝড়টি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে বলে তথ্য দিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন আবহাওয়া পূর্বাভাস দফতর।
কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ পূর্বাভাস ঘূর্ণিঝড় ডানা সৃষ্টির আশঙ্কা ৯০ থেকে ১০০ শতাংশ।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) ১৯ অক্টোবর আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল হতে প্রাপ্ত সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি ২৩ অক্টোবর মধ্য রাতের পর থেকে ২৪ অক্টোবর মধ্য রাতের মধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের উপকূলে আঘাত করার আশঙ্কা করা যাচ্ছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক গণমাধ্যমে বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের দিকে আঘাত হানতে পারে। তবে গতিপথ পরিবর্তন করে বাংলাদেশেও আঘাত হানার শঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না।
তিনি আরও জানান, গতিপ্রকৃতি দেখে কখন কোথায় আঘাত হানতে পারে সে পূর্বাভাস দেবে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তিনি বলেন, শনিবারও বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর ২-৩ দিন বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তার পর লঘুচাপের প্রভাবে আবারও বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিত অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মধ্য বঙ্গোপসাগরে ২২ অক্টোবরের মধ্যে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।
এর প্রভাবে শনিবার খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু্ই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এম এইচ/
Discussion about this post