জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই রয়েছে ইসলামের বিধান। এ বিধানগুলো পালনে উভয় জগতে সফল ও সার্থক হওয়া যায়। জীবনে নেমে আসে অনাবিল শান্তি ও সুখ। কিন্তু আমরা ভুলে যাই আমাদের নবীর আদর্শ কী। তা না জেনে ডুবে যাই পশ্চিমা হতাশায় ভরা সংস্কৃতিতে।
শরীরের কোনো অংশে ট্যাটু আঁকা ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম। মহান আল্লাহর সৃষ্টিতে বিকৃতি সাধনের অন্তর্ভুক্ত ট্যাটু আঁকা। ট্যাটুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিশপ্ত বলা হয়েছে হাদিসে। কারণ, এর মাধ্যমে মানুষের স্বাভাবিক সৌন্দর্য স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়। ইসলামের দৃষ্টিতে এই কাজটি খুবই গর্হিত। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন,
আমি সবচেয়ে সুন্দর কাঠামোতে মানুষ সৃষ্টি করেছি। (সুরা তিন ৪)
তাই মানুষের স্বাভাবিক সৌন্দর্য বিকৃত করা ইসলামে নিষিদ্ধ। এ কারণেই পবিত্র কোরআনে অঙ্গবিকৃতিকে শয়তানের অনুসারীদের কাজ আখ্যা দেয়া হয়েছে। অভিশপ্ত শয়তান মহান আল্লাহকে বলেছিল,
আমি অবশ্যই আপনার বান্দাদের মধ্য থেকে নির্দিষ্ট কিছু মানুষকে বেছে নেবো, তাদের বিপথগামী করবো, তাদের আশ্বাস দেবো; তাদের পশুদের কান ফোঁড়াতে বলবো এবং তাদের আল্লাহর সৃষ্ট আকৃতি বিকৃত করতে আদেশ দেবো। যে কেউ আল্লাহকে বাদ দিয়ে শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, সে প্রকাশ্য ক্ষতিতে পতিত হয়। (সুরা নিসা ১১৭-১১৯)
হাদিসে অঙ্গবিকৃতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অভিশপ্ত আখ্যা দেয়া দেয়া হয়েছে। বিখ্যাত সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন,
যে নারী নকল চুল ব্যবহার করে এবং যে তা সরবরাহ করে, আর যে নারী ট্যাটু আঁকে এবং যে আঁকায়, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের অভিশাপ দিয়েছেন। (বুখারি ৫৫৯৮; মুসলিম ৫৬৯৩)
ট্যাটুর কারণে শরীরে পানি পৌঁছতে বাধার সৃষ্টি হয়। তাই অজু-গোসল শুদ্ধ হবে না। ফলে যত দিন ট্যাটু থাকবে, তত দিন অজু-গোসল আদায় হবে না এবং এই অবস্থায় নামাজ আদায় হবে না। একইভাবে অস্থায়ী আঁকাজোকার কারণে পানি পৌঁছাতে না পারলেও অজু-গোসল শুদ্ধ হবে না। (আল-মাউসুয়াতিল ফিকহিয়্যাহ আল-কুয়েইতিয়্যাহ)
তাই যত দ্রুত সম্ভব ট্যাটু উঠানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাওয়া।
এস আই/
Discussion about this post