একজন শাসক যখন পালিয়ে যায়, তখন তার পদত্যাগপত্র গুরুত্বপূর্ণ না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ লেবার পার্টির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রেসক্লাবে একথা বলেন তিনি।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, রাষ্ট্রপতি যখন পদত্যাগের বিষয় নিশ্চিত করেন তখন কোনো কথা থাকে না। এ প্রসঙ্গে নতুন করে আলোচনা সন্দেহজনক ও দুশ্চিন্তার।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি নিজেই তার ভাষণে শেখ হাসিনার পদত্যাগের কথা বলেছেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফায় সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ আছে। কিছু রাজনৈতিক দল সংখ্যানুপাতে আসন বণ্টনের কথা বলছে, আগে বলে নাই। এটি সব রাজনৈতিক দলের আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্তের বিষয়। ভারত ইংল্যান্ডেও সংখ্যানুপাতের উদাহরণ নেই। সংখ্যানুপাতের সমস্যা মোকাবিলা করছে নেপাল। যেসব দল সংখ্যানুপাতের ভিত্তিতে আসন বণ্টন চায় তাদের অনেকের নির্বাচনে আসন পাওয়ারও সম্ভাবনা নাই।
‘ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে নতুন পরিস্থিতি এসেছে সেখানে ভালো কিছু করতে গিয়ে জণআকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে যেনো না যায় তা খেয়াল রাখতে হবে। কোন ব্যক্তি গোষ্ঠীর বিশেষ চিন্তা বাস্তবায়ন করা উচিত হবে না। চাপিয়ে দেয়া যাবে না।’
ব্যারিস্টার সুমনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পেলো পুলিশব্যারিস্টার সুমনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পেলো পুলিশ
তিনি দাবি করেন, মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীন করা দেশ দখল হয়ে গিয়েছিলো। ষড়যন্ত্র থেমে নেই, নানান ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে। সরকার সবল না, সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। সমাজের বিভিন্নস্থানে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা চলছে। দুর্গাপূজায়ও বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা হয়েছিলো। তা মোকাবিলা করা হয়েছে।
সমস্যা বাড়ানোর জন্য নয়, কমানোর জন্য সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে, যোগ করেন নজরুল ইসলাম খান।
এম এইচ/
Discussion about this post