ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম শনিবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ইসলামী যুব আন্দোলনের প্রতিনিধি “সম্মেলন ২০২৪” এ বক্তব্য রাখেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন রক্তের সাগর পেরিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তারা ক্ষমতায় বসিয়েছে, কিন্তু এই সরকারের মধ্যেও শিক্ষানীতিতে ইসলাম ও মুসলমানদের বিশ্বাস ও আদর্শকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ব্যাপারে আন্তরিকতার ঘাটতি আছে বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও তার অঙ্গসংগঠনসমূহের ভূমিকা ছিল অনন্য। এছাড়াও এই আন্দোলনে ৭৩ জন হাফেজ আলেম শহীদ হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন শতাধিক। সুতরাং আলেম ওলামারা এ দেশের সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে সব সময় সজাগ ছিলেন।
ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি মানসুর আহমদ সাকীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, বিগত আওয়ামী সরকার এই দেশের নয় বরং বিদেশি দালাল সরকার হিসেবেই শিক্ষানীতিসহ বিভিন্ন সেক্টরে দেশ ও ধর্মবিরোধী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছিল। কিন্তু দুঃখজনক বাস্তবতা হলো, রক্তের সাগর পেরিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা ক্ষমতায় বসিয়েছি, তাদের মধ্যেও শিক্ষানীতিতে ইসলাম ও মুসলমানদের বিশ্বাস ও আদর্শকে অগ্রাধিকার দেয়ার ব্যাপারে আন্তরিকতার ঘাটতি আছে।
তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জন্য দেশের রাজনৈতিক মাঠ এখন যথেষ্ট উর্বর। এদেশের মানুষ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কার্যক্রমকে পর্যবেক্ষণ করে সন্তুষ্ট হয়েছে, আগামীতে তারা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে ক্ষমতার ভার অর্পণ করতে চায়।
এস এম/
Discussion about this post