শিক্ষায় ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের অংশগ্রহণ বেশি, ফলাফলেও মেয়েরা এগিয়ে, এটি যেমন সুখবর তেমনি কেন ছেলেরা পিছিয়ে সেটির কারণ খুঁজে বের করতে হবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১২ মে) ২০২৪ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানদের উদ্দেশ্যে যার যার বোর্ডে তাদের খবর নিতে বলেন যে ঠিক কী কারণে ছেলেরা পিছিয়ে যাচ্ছে। ইদানীং কিশোর গ্যাং ও দেখা যাচ্ছে সেটির প্রভাব যেন না পড়ে ছাত্রদের উপর সেদিকে নজর রাখতে বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফলাফলে দেখলাম, তিন বোর্ডে ছাত্রীর সংখ্যা বেশি। কিছু জায়গায় সমান। অধিকাংশ জায়গায় ছাত্রীদের সংখ্যা বেশি। এটা আমাদের জন্য সুখবর। এসএসসি পর্যন্ত নারীদের শিক্ষা আমরা অবৈতনিক করেছি। পরীক্ষায়ও ছাত্রী সংখ্যা বেশি। ১১টি শিক্ষা বোর্ডে মোট ২০ লক্ষ ৩৮ হাজার ১৫০ জন পরীক্ষার্থী। ছাত্রসংখ্যা ৯ লক্ষ ৯৯ হাজার ৩৬৪ জন, আর ছাত্রী সংখ্যা ১০ লক্ষ ৩৮ হাজার ৭৮৬ জন। কেন ছাত্ররা কম? সে কারণটা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে, কি কারণে ছাত্ররা কমে যাচ্ছে? পাসের হারেও দেখা যায় অনেক ক্ষেত্রে মেয়েরাই অগ্রগামী।
সরকার প্রধান আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা আসার পর থেকেই প্রচেষ্টা ছিল মানুষকে লেখাপড়ার প্রতি উৎসাহিত করা। যাতে তারা লেখাপড়ার দিকে মনোযোগ দেয়। এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি দিনে দিনে সাক্ষরতা হার বেড়েছে। শিক্ষা অংশগ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তারপর কেউ যদি ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে তাদেরকে স্কুলে পাঠানো আমাদের দায়িত্ব। শুধুমাত্র বিএ-এমএ পাস করবে তা নয়, সঙ্গে কারিগরি শিক্ষা, বিজ্ঞান প্রযুক্তি, তথ্যপ্রযুক্তি, শিক্ষিত হওয়ার জন্য যা যা দরকার বা বিশ্ব পরিমণ্ডলে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকার শিক্ষা ব্যবস্থায় আমরা প্রবর্তন করতে চাই।
তিনি বলেন, জাতির পিতা শিক্ষা নীতিমালা প্রমাণ করেছিলেন। হস্তান্তর করেছিলেন। কিন্তু সেটা সম্পন্ন করে যেতে পারেননি। তারপর জাতির পিতাকে হত্যা করা হলো। সেই নীতিমালা আর কখনো আলোর মুখ দেখেনি। আওয়ামী লীগ সরকার ৯৬ সালে সরকার গঠন করার পর সেই নীতিমালার আলোকে প্রণয়ন করার জন্য একটা কমিশন গঠন করেছিলাম। ২০০১ আমরা সরকারে আসতে পারলাম না, আবারও সেই শিক্ষা নীতিমালা ডিপ ফ্রিতে চলে গেল। এরপর আর কোনও উদ্যোগ ছিল না। দ্বিতীয়বার যখন সরকারে এলাম তখন নীতিমালা প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। সময় উপযোগী করে যখনই সেটার সংশোধনের প্রয়োজন হবে, পরিবর্তন করার সুযোগ রয়েছে।
এন এন/
Discussion about this post