কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় এক কৃষককে দিয়ে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তাছলিমা নাসরিন নামের এক স্বাস্থ্য সহকারীকে শোকজ করা হয়েছে। রোববার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. সজিব ভট্টাচার্য এই নোটিশ দেন। নোটিশে তিন কার্যদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১ জুন) শিশুদের রাতকানা ও অন্ধত্ব রোগ প্রতিরোধে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে লালমাই উপজেলায় ৪০ হাজারের বেশি শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। এ ক্যাম্পেইনে প্রতি টিকাদান কেন্দ্রে সরকারি খরচে দু’জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও লালমাই উপজেলার ভুলইন উত্তর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে কোনো স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
ওই ওয়ার্ডের স্বাস্থ্য সহকারী তাছলিমা নাসরিন একটি বাড়ির মালিককে দিয়ে শিশুদের ক্যাপসুল খাওয়ানোর আয়োজন করেন। ওই ওয়ার্ডের শ্রীপুর গ্রামের কৃষক ইয়াহিয়ার বাড়িতে শিশুদের ক্যাপসুল খাওয়ানোর একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ছবিতে বাড়ির মালিক কৃষক ইয়াহিয়াকে খালি গায়ে একটি শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়াতে দেখা যায়।
স্বাস্থ্য সহকারী তাছলিমা নাসরিন শোকজের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, শ্রীপুর গ্রামের কৃষক ইয়াহিয়ার বাড়িতে আমি ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়াচ্ছিলাম। কিছুক্ষণের জন্য আমি ওই বাড়ির একটি ঘরে আমার সন্তানকে নিয়ে গেলে ইয়াহিয়া শিশুদের ক্যাপসুল খাওয়ান। তখন তিনি যে খালি গায়ে ছিলেন আমি তা জানতাম না।
লালমাই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. সজিব ভট্টাচার্য্য রোববার রাতে বলেন, শিশুদের ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়াতে সরকারিভাবে প্রতিটি কেন্দ্রে দু’জন করে স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ভুলইন উত্তর ইউনিয়নের শ্রীপুরে ইয়াহিয়ার বাড়ির কেন্দ্রে খালি গায়ে এক ব্যক্তি শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ান। বিষয়টির ব্যাখা চেয়ে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য সহকারীকে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
এস আই/প্রবাস খবর
Discussion about this post