বর্তমানে ফেসবুক বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মাধ্যম। মাধ্যমটি এতটায় জনপ্রিয় অনেকেই রীতিমতো আসক্তি হয়ে পড়েছে। তালিয়ার উপরের দিকে রয়েছে শিশুরা। ফেসবুক আসক্তিতে ভুগে যেসব শিশুর ক্ষতি হচ্ছে তাদের বাবা-মার কাছে ক্ষমা চাইলেন কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন সিনেটে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়ার পর জাকারবার্গ সেই সব বাবা-মা ও পরিবারের কাছে ক্ষমা চাইলেন। বুধবার মার্কিন সিনেটের জুডিশিয়ারি কমিটি এই টেক কর্মকর্তাদের তলব করে। এর নাম দেওয়া হয়েছিল, বিগ টেক অ্যান্ড অনলাইন চাইল্ড সেক্সুয়াল এক্সপ্লয়টেশন ক্রাইসিস।
একজন সিনেটর সরাসরি অভিযোগ করেন, জাকারবার্গ এমন একটি প্রোডাক্ট নিয়ে এসেছেন, যা মানুষের মৃত্যুর কারণ হচ্ছে। সেনেটর ডিক ডুবিন ছিলেন এই কমিটির প্রধান। তিনি বলেন, ‘এই কোম্পানিগুলি যে প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে, তা প্রচুর শিশুর কাছে বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোম্পানিগুলি সুরক্ষার পিছনে যথেষ্ট অর্থ খরচ করেনি, প্রাথমিক সুরক্ষার থেকে লাভকেই বড় করে দেখেছে। এর ফলে বাচ্চারা বিপদের মধ্যে পড়েছে।’
সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম বলেন, ‘মিস্টার জাকারবার্গ, আপনি ও আপনার কোম্পানিগুলির কাজ আমাদের সামনে আছে। আমি জানি, আপনি কখনোই এরকম পরিস্থিতি চাইবেন না, তা সত্ত্বেও আপনার হাতে রক্ত লেগে আছে। আপনার প্রোডাক্ট মানুষকে মারছে।’
জাকারবার্গ অভিভাবকদের বলেছেন, ‘আপনাদের যে কষ্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে, তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আপনাদের পরিবারের যে ক্ষতি হয়েছে, তা যেন অন্যদের না হয়।’ তিনি বলেন, ‘ইন্টারনেট শুরু হওয়ার পর থেকে বাচ্চাদের নিরাপদে রাখাটা প্রথম থেকে একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। অপরাধীরা তাদের কৌশল বদলেছে। আমাদেরও প্রোডাক্টের সুরক্ষা বদলাতে হয়েছে।’
জাকারবার্গ ছাড়াও টিকটকের সিইও শাও জি চিউ, স্ন্যাপচ্যাটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইভান স্পিগেল, ডিসকর্ড সিইও জেসন সিট্র এবং এক্স-এর অনলাইন প্ল্যাটফর্ম প্রধানও ছিলেন।
এ এস/
Discussion about this post