গাজীপুরের শ্রীপুরে আট বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা এবং যৌন নিপীড়নের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আব্দুল মালেক (২২) নামে এক মাদ্রাসার শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (৮ মার্চ) রাতে উপজেলার মাওনা এলাকার একটি মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) শামীম আকতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
‘ভালো স্পর্শ, খারাপ স্পর্শ’ বিষয়ে শিশুদের সচেতন করবেন যেভাবে‘ভালো স্পর্শ, খারাপ স্পর্শ’ বিষয়ে শিশুদের সচেতন করবেন যেভাবে
অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল মালেক নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার শিবপুর (লেংগুরা) এলাকার বাসিন্দা। তিনি ওই মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন। আর শিশুটি ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।
পুলিশ ভুক্তভোগীর স্বজন ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দুপুর দেড়টায় মাদ্রাসার নুরানি শাখায় শিশুটিকে একা পেয়ে শিক্ষক আব্দুল মালেক যৌন নিপীড়ন করে ও ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় শিশুটি চিৎকার শুরু করে; তখন আশেপাশ থেকে লোক চলে আসার ভয়ে মালেক শিশুটিকে ছেড়ে দেয় এবং এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখায়।
এরপর থেকে শিশুটি মাদ্রাসায় যেতে চাইছিল না। মাদ্রাসায় না যাওয়ার কারণে শনিবার দুপুরে শিশুটির বাবা তাকে মারধর করে। এ সময় শিশুটি পরিবারকে সেদিনের ঘটনা জানায়। এরপর শিশুটির স্বজন ও স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
শ্রীপুরের চকপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ হাসমত উল্লাহ বলেন, “শিক্ষক কর্তৃক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টা এবং যৌন নিপীড়নের ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর স্থানীয় লোকজন মাদ্রাসা শিক্ষককে গণপিটুনি দেয়ার চেষ্টা করে। পরে মাদ্রাসা পরিচালক পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তাকে আটক করে।”
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) শামীম আকতার বলেন, “ধর্ষণচেষ্টা এবং যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ওই শিশুর বাবা বাদী হয়ে শনিবার রাতে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামি আব্দুল মালেককে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে তাকে গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।”
এম এইচ/
Discussion about this post